সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে ‘ফ্লু কর্নারে’ অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য নির্ধারিত ১০০ টাকা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন জেলার বিভিন্ন এলাকার উপসর্গ থাকা ২৪ জন নারী-পুরুষ। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে স্বল্প সময়ের ফলাফলে ২৩ জনের নেগেটিভ ও একজনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করেন।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রতিদিন ফ্লু কর্নারে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা করোনা উপসর্গের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রথম দিনে ১২ জন, দ্বিতীয় দিনে ২২ জন এবং সর্বশেষ সোমবার ২৪ জন রেজিস্ট্রেশন করে নমুনা দিয়েছেন। অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা আন্তরিকভাবে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ফল জানিয়ে দিচ্ছেন। গত তিন দিনে জেলার মোট ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে সাত জনের দেহে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। তবে নেগেটিভ ৫১ জনের নমুনা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে টেস্টের জন্য পাঠানো হবে। পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি না।’
কোভিট-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতিদিনের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গত ২২ মার্চ উত্তরাঞ্চলে প্রথম গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মা-ছেলের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ক্রমাগত জেলার সাত উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬০ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২৮৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে শিশুসহ ১৪ জনের।