অভিযান শেষে এসএম মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা এনে ওই বাসায় রেখে কেনা-বেচা করা হতো। ১২টি চেক বইয়ের মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছি। তাদের মধ্যে দুজনের সঙ্গে মিয়ানমারের সরাসরি যোগাযোগ আছে। তাদের মাধ্যমে আমরা এই চক্রের সব সদস্যকে আটকের চেষ্টা করবো।’
এ ঘটনায় ওই বাসা থেকে এক নারীসহ চার জনকে আটক করা হয়। তারা হলো– মাসুদ ফোরকান, তার স্ত্রী শামীম আরা সুমি, মোবারক হোসেন ও মো. রাসেল।
এস এম মেহেদী হাসান জানান, এর আগে ঢাকায় ইয়াবা বিক্রির পর অস্ত্র সংগ্রহ করে টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পথে বাকলিয়া থেকে অস্ত্রসহ এক রোহিঙ্গা নাগরিককে গ্রেফতার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাদের দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাট থেকে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের তথ্য দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এই ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করি।
তিনি আরও জানান, তাদের একেক এলাকায় একেক নাম ব্যবহার করতো। আটক ব্যক্তিরা ধর্মীয় লেবাস ধারণ করে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। আশপাশের লোকজন যাতে সন্দেহ না করে সেজন্য তারা মসজিদে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজনকে ডেকে নিয়ে যেতো। তাদের বাসায় অনেক ধর্মীয় বই পাওয়া গেছে।
অভিযানে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ, সিএমপির সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম অংশ নেন।