নাব্য সংকট নিরসনে বরিশাল-ঢাকা নৌপথসহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীর একাধিক পয়েন্টে আগামী মঙ্গলবার থেকে ড্রেজিং শুরু হচ্ছে। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বরিশাল নদী বন্দরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, 'বিভিন্ন নদীর প্রায় ৩০টি পয়েন্টে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৪ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতি ঘন মিটার ১০০ টাকা হারে খরচ ধরে এই ড্রেজিং বাবদ ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এ কাজে বিআইডব্লিউটিএ’র ৮ থেকে ১০টি ড্রেজার নদী ড্রেজিং করবে। প্রয়োজনে বেসরকারি ড্রেজারও কাজে লাগানো হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডেজিং শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।'
ড্রেজিং পরিকল্পনায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো হলো- বরিশাল নদী বন্দর, পটুয়াখালী নদী বন্দর, ভোলা নদী বন্দর, বরগুনা নদী বন্দর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া নৌপথ, পাতারহাট পয়েন্ট, কারখানা নদীর লোহালিয়া পয়েন্ট, মজুচৌধুরী ফেরীঘাট সংলগ্ন মতিহাট পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরও বলেন, 'প্রতি বছর বর্ষাকালে উজান থেকে ২.৪ বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি ভাটিতে আসে। এর সঙ্গে নদী ভাঙনের ফলেও বিপুল পরিমাণ পলির সৃস্টি হয়। যার ৭০ ভাগ বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে এবং ৩০ ভাগ বিভিন্ন নদীতে জমে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়। এতে নৌ চলাচল ব্যাহত হয়। এ কারণে সামনে শুষ্ক মৌসুমে নৌ চলাচল নিরাপদ করতে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে ড্রেজিং শুরু করতে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।'
এসময় বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।