জামালপুরে কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার কৃষির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি থেকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় কৃষির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছরের বন্যায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, বকশিগঞ্জ ও জামালপুর সদরসহ মোট সাত উপজেলার ৫৯ টি ইউনিয়ন ও ৬৭৭ টি গ্রামের মোট ২৬ হাজার ২০৬ হেক্টর জমির রোপা আমন বীজতলা, আউশ, পাট, শাকসবজি, ভুট্টা, আখ, মরিচ, কলা, তিল, বাদামসহ অন্যান্য ফসলি জমি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছিলো। ডুবে যাওয়া জমির মধ্যে ১৫ হাজার ৪৯২ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ এবং বাকি ১০ হাজার ৭১৪ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে রয়েছে দুই হাজার ৯২ হেক্টর জমির রোপা আমন বীজতলা, চার হাজার ২৮৮ হেক্টর জমির আউশ, সাত হাজার ৪৪ হেক্টর জমির পাট, এক হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমির শাকসবজি, ১০ হেক্টর জমির ভুট্টাসহ মরিচ, আখ, কলা, তিল, বাদামের ফসল। সরকারি হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা সর্বমোট এক লাখ ৯০ হাজার ২৭ জন।
এদিকে জামালপুর কৃষি বিভাগ জানায়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্যার কারণে কৃষির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমির রোপা আমন বীজতলা প্রস্তুতের চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে। ৭২ শতাংশ জমিতে ইতোমধ্যে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। নতুন করে বন্যা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ক্ষতি কাটিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বন্যায় ১৫ হাজার ৪৯২ হেক্টর ফসলি জমি যার মধ্যে রোপা আমন বীজতলা, আউশ, পাট, ভুট্টা, মরিচ, আখ, কলা, তিল, বাদাম সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। ১৪০ কোটি টাকার অধিক আর্থিক লোকসান হয়েছে। ছয় হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন বীজতলার টার্গেট হাতে নিয়ে ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ জমিতে চারা রোপন করা হয়েছে।