জিন্নাহর ভাই মাহমুদ আশরাফ মামুন এ বিষয়ে থানায় ফক্কারসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ শনিবার সকালে বগুড়া শহর থেকে নন্দীগ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে বেলা ১২টার দিকে তিনি কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নেমে একটি দোকানে চা পান ও জনগণের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী ফক্কার ও তার লোকজন সেখানে আসেন। তারা পূর্ব কোনও বিরোধের জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাহকে লাঞ্ছিত করেন।
তবে আওয়ামী লীগ নেতা ফক্কারের দাবি, বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে যাওয়া নিয়ে কটূক্তি করায় জিন্নাহর সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় জিন্নাহর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
তবে লাঞ্ছিত উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ অভিযোগ করেন, ‘নব্য আওয়ামী লীগারদের নির্দেশে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জুলফিকার আলী ফক্কার আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আমি কখনও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। হামলাকারী নব্য আওয়ামী লীগাররা নিজেদের বাঁচাতে মিথ্যাচার করছে।’
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহকে লাঞ্ছিত ও হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে বক্তারা হামলকারীদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এছাড়া সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।