আহত স্কুলছাত্রীর নাম লামিয়া (১৫)। তার বাবার নাম মো. জামাল হোসেন। লামিয়া নগরীর ইকবালনগর বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, লামিয়ার বাড়ির বিপরীতে ঠিকাদার ইউসুফের বাড়ি। সম্প্রতি ইউসুফ মহানগরীর বাবু খান রোডের কাজ পান। তবে এ কাজটি তার কাছ থেকে কিনে নিতে আগ্রহী ছিলেন অন্য এক ঠিকাদার। কিন্তু ইউসুফ তার কাছে বিক্রি না করে ময়না কমিশনারের কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। এতে ওই ঠিকাদার ক্ষুব্ধ হয়ে শুক্রবার সকালে ইউসুফের বাড়ির সামনে আসে এবং শোরগোল করতে থাকে। এ অবস্থায় বাড়িতে থাকা ইউসুফ শটগান থেকে গুলি ছোড়েন। যা তার বাড়ির বিপরীত বাড়ির গেটে দাঁড়ানো শিশু লামিয়ার পায়ে বিদ্ধ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিস্ত্রিপাড়ার আরাফাত জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা লামিয়া বেলা ১১টার দিকে বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলো। এমন সময় ইউসুফের বাড়ির থেকে শটগানের একটি গুলি এসে মেয়েটির বাম পায়ের উপরের অংশে বিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুমেকের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুমেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, মেয়েটির জীবনের ঝুঁকি না থাকলেও, পায়ের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।