শুভ নগরীর নগরীর কলেজ রোড এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। ২০০৩ সাল থেকে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মামলার বাদী কাজী আতিকুর রহমান নগরীর খান সড়কের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আহাদ আলী খান জানান, বাদীর সঙ্গে আসামি শুভর বন্ধুত্বপূর্ন এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত আতিকের কাছ থেকে শুভ তার ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫৫ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে শুভ টালবাহানা শুরু করে।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মার্কেন্টাইল ব্যাংক সাভার হেমায়েতপুর শাখায় শুভ তার নিজস্ব হিসাব নম্বরের অনুকূলে আতিকের মেসার্স সুরাইয়া কনস্ট্রাকশনের নামে ৫৫ লাখ টাকার চেক দেন।
১৪ অক্টোবর চেক জমা দেওয়া হলে তা ডিজঅনার হয়। ১৫ অক্টোবর আতিক আইনজীবীর মাধ্যমে শুভকে আইনি নোটিশ দেন। শুভ নোটিশের কোনও জবাব না দেওয়ায় একই বছরের ১ ডিসেম্বর বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন বাদী। বিচারক ওই দিনই আসামি শুভকে স্ব-শরীরে আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারির নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গাজী তৌকির রহমান শুভ বলেন, আতিকের সঙ্গ ব্যবসায়িক লেনদেন আছে। আতিক তার কাছে ৫৫ লাখ টাকায় পায়। তিনিও আতিকের কাছে টাকা পান। এই বিষয়টি সুরহা করার জন্য বিভিন্ন সময় তাগাদা দিলেও আতিক কোনও সমঝোতা না করে মামলা করেন। এখন আইনগতভাবে মামলা মোকাবিলা করবেন বলে জানান তিনি।