আদালত মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) অ্যাডভোকেট একরামুল হুদা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় নারী নির্যাতন আইনের ৯ (১) তৎসহ দঃবিঃ আইনের ৩২৩/৩২৪/৩৪২/৩৭৯/৫০৬ ধারা মতে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাদী মহেশখালী উপজেলার কালারমারছরার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়ার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, উখিয়া থানার সাবেক কনস্টেবল মো. সুমনের (বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। প্রেমের সুবাদে তরুণীকে কাবিনের কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা ২ টার দিকে খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন একটি কক্ষে নিয়ে যায় সুমন। কাজি আসার অপেক্ষার অজুহাতে কক্ষে বসিয়ে রাখে ও পরে তরুণীকে ধর্ষণ করে। এরপর চেকপোস্টের পাশের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরি কাজের বাহানায় পালিয়ে যায় সুমন। অবশেষে রাত ১১টার দিকে বিষয়টি কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ভিকটিম। তার কথামতো থানায় গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মোবাইলফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা। এরপর অভিযুক্ত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে কক্ষে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি পায়ে রশি ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে রাখারও অভিযোগ আনেন মামলার এজাহারে।
এ বিষয়ে জানতে উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
তবে উখিয়ার সাবেক ওসি তদন্ত (বর্তমানে মহেশখালী থানায় কর্মরত) নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটিকে নির্যাতনের বিষয়টি ঠিক নয়। মেয়েটি পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করলে তিনি আমাদের বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। আমরা গুরুত্ব সহকারে একটি প্রতিবেদন পুলিশ সুপার বরাবর পাঠিয়েছি। তবে মেয়েটি উখিয়া থানায় গিয়ে বার বার কনস্টেবল সুমনকে বিয়ের কথা জানাতো বলে জানান নুরুল ইসলাম।