প্যাথলজি রিপোর্টে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের স্বাক্ষর, দুই লাখ টাকা জরিমানা

117717331_318534019264009_7355531806145702993_n117717331_318534019264009_7355531806145702993_n

প্যাথলজিস্ট ডা. রওনক জাহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকলেও ডক্টরস্ ক্লিনিকের (ইউনিট-২) প্যাথলজির রিপোর্ট তার স্বাক্ষর থাকছিল। এমন অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ম্যানেজার সোহেল জামানকে দুই লাখ জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি অপরাধ স্বীকার ও জরিমানা পরিশোধ করেছেন।

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. রওনক জাহান শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় ডক্টরস্ ক্লিনিকে (ইউনিট-২) প্যাথলজিস্ট হিসেবে কর্মরত। গত ১৬ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এরপরও ক্লিনিক থেকে দেওয়া প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টে তার স্বাক্ষর থাকছে। ভুক্তভোগী কেউ এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অভিযোদের সত্যতা পান। আদালত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সোহেল জামানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তাকে এক বছরে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তিনি আদালতের কাছে তাৎক্ষণিক টাকা পরিশোধ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন সাংবাদিকদের জানান, ডা. রওনক জাহানের সঙ্গে কথা বললে তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্যাথলজির রিপোর্টে স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ডা. রওনক জাহানের স্বাক্ষর জাল করেছে।

তবে ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক সোহেল জামান দাবি করেন, তারা স্বাক্ষর জাল করেননি। বিষয়টি ডা. রওনক জাহান ভালো বলতে পারবেন।

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা রিয়াজ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম নির্ঝর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।