সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের ইঙ্গিত করে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর স্ট্যাটাস’ দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার যুবকের নাম কামাল হোসেন ওরফে বাবু (২৫)। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাবু সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বুলারাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় ফ্যাক্স ফোনের দোকানদার।
এর আগে সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান বাদী হয়ে সোহানা পারভিন নামের এক নারী ও অজ্ঞাতনামা আরও একজনসহ মোট দুই জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোহানা পারভিন নামে একটি আইডি থেকে কারও নাম উল্লেখ না করে গত ১৩ জুন রাতে একটি আপত্তিকর লেখা পোস্ট করা হয়। পোস্টের ইঙ্গিতমূলক বক্তব্যে কারও মৃত্যু বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আরও মৃত্যু কামনা করা হয়। ঘটনাচক্রে সেদিনই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্মমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ মারা যান। ফলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ধারণা করেন, এই পোস্টটি তাদের নেতাদের উদ্দেশ করে লেখা। এরইমধ্যে পোস্টটি ভাইরালও হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান বাদী হয়ে সোহানা পারভিন নামের এক নারী ও অজ্ঞাতনামা আরও একজনসহ মোট দুইজনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই প্রদীপ কুমার সাহা মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আজ সকালে কামাল হোসেন বাবু নামে ওই যুবকের হাতে ফোনটি দেখতে পান এবং তাকে গ্রেফতার করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার আসামির কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সোহানা পারভিন নামের ওই নারীর মোবাইলটি বর্তমানে তার কাছে রয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে তার আইডি ব্যবহার করে সে এই পোস্টটি দিয়েছে।
তবে এটি ফেক আইডি বলে ধারণা করছে পুলিশ।