নাটোরের লালপুর ও পাবনার ঈশ্বরদীতে বজ্রাঘাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে পৃথক স্থানে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরের লালপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের মৃত হারান মালিথার ছেলে বাকের আলী (৫৫) ও বেরিলাবাড়ী গ্রামের খোদাবক্স প্রামানিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৫)৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বাণীন দ্যূতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও উম্মুল বাণীন দ্যূতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, সোমবার দুপুর ২টার দিকে পদ্মা নদীর চরে কৃষিকাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দিয়াড় সংকরপুর এলাকায় বজ্রাঘাতে দগ্ধ হন বাকের আলী। স্থানীয় লোকজন তাকে লালপুর উপজেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, পাবনা প্রতিনিধি জানান, বজ্রাঘাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সাইদুল ইসলাম (৩৯)।
তিনি রাজশাহী বাঘা উপজেলার বেরিলাবাড়ী গ্রামের খোদাবক্স প্রামনিকের ছেলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
এলাকাবাসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ফসলের মাঠে কয়েকজনের সঙ্গে কাজ করতে যান কৃষক সাইদুল। দুপুরে বৃষ্টি নামলে অন্যরা ফিরে গেলেও সাইদুল মাঠে কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় মাহমুদুলকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা খান জানান, বজ্রপাতের শিকার ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।