অর্ধেক রাস্তা থেকে রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স ফেরানোর অভিযোগ

বৃহস্পতিবার রংপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও-এর বিরুদ্ধে রোগীর অ্যাম্বুলেন্স অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরিয়ে আনার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে এবং ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর আদর্শপাড়া গ্রামের নুরুল হোসেনের ছেলে লিমন হোসেন (১৭) বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মুন্সিপাড়া গ্রামের আবু কাশেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (১৮) তার মাথায় ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে আঘাত করে। আহত অবস্থায় লিমনের বন্ধুরা লিমনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা না করেই তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নোভা। লিমনকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স রংপুর মেডিক্যাল কলেজ অভিমুখে যাত্রা করলে কয়েক মিনিট পর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী ড্রাইভারকে ফোন করে তা জানতে পারেন যে তা ততক্ষণে পাগলাপীরে চলে গেছে। তিনি ড্রাইভারকে সেখান থেকে ফিরে এসে করোনা রোগের নমুনা পরীক্ষার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে বলেন। অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই রোগীসহ গাড়ি ঘুরিয়ে ফেরত এসে লিমনকে নামিয়ে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আহত লিমনের স্বজন ও এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে।

এ ব্যাপারে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী জানান, আজকালকার ছেলেদের তিলকে তাল বানাতে ব্যস্ত থাকে।

তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলীর জানান, টিএইচও তাকে ফোন করে জানিয়েছেন কিছু লোক হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এই খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।