কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, ফুল বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ২য় দিনের মতো জিরানি এলাকার ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
এদিকে প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও জামগড়া এলাকার স্টারলিং গ্রুপের দুটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। বেলা ১১টার দিকে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরেই সম্পূর্ণ বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে বাইপাইল-আব্দুল্লাপুর সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকে।
অন্যদিকে জামগড়া এলাকার দি রোজ নামক গার্মেন্টেসের শ্রমিকরাও সম্পূর্ণ বেতনের দাবিতে কর্মবিরতী পালন শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় কর্মবিরতী পালন করার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শিল্প পুলিশ কারখানার গিয়ে বাড়ির মালিকদের ৬০ভাগ ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি আশ্বাস দেওয়ায় শ্রমিকরা আবারও কাজে যোগ দেয়।
শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, শতভাগ বেতন না পেলে তারা বাড়ি ভাড়াসহ তাদের অনান্য ব্যায় কিভাবে মেটাবেন। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিল্প পুলিশ -১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান বলেন, আশুলিয়ায় দুটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।