শনিবার (২ মে) তার নির্বাচনি এলাকা দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে দরিদ্র অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ বন্ধ ছিল, গণপরিবহণ বন্ধ ছিল। আমরা আমাদের যাত্রীবাহী ট্রেনগুলো বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু মালবাহী ট্রেন চালু করা হয়েছে। এখন থেকে আমরা টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ সমস্ত কিছু লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে পরিবহণের ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা চালু করা হয়েছে। যাতে দেশের কোথাও নিত্যপণ্যের সংকট না হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর সুযোগ নেই। তবে পণ্য পরিবহণে আরও লাগেজ ট্রেন চালু করার প্রক্রিয়া চলছে।‘
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পঞ্চগড় থেকে টমেটো, তরমুজসহ বিভিন্ন শাকসবজি স্বল্প ভাড়ায় বেশি পরিমাণে যাতে পরিবহণ করতে পারি সেজন্য পঞ্চগড়ের ব্যবসায়ী হোক বাইরের ব্যবসায়ী হোক, আমরা তাদের আহ্বান জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের রেল যোগাযোগে এটি একটি নতুন সংযোজন। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় চালু করা হয়েছে।‘
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে যেন অনিয়ম না হয়। কারণ একই ব্যক্তি বার বার ত্রাণ পাচ্ছে, আবার কেউ একবারও পাচ্ছে না। এমনটি যেন না হয়। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ যারা ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দেখতে হবে দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিদের একজনও যেন ত্রাণ থেকে বঞ্চিত না হয়।’ করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘করোনায় প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি চান একজন মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে। একজনে যেন দুই/তিন বার না পায়, আবার কেউ পায় না এমনটা যেন না হয়। মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারেন না তাদেরও প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ দেওয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেকটা ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই করোনার মধ্যে আমরা আবার মহাবিপদে পড়ে গেছি। এই বিপদের দিনে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাস্থ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে। রোগটা এমন যে আমরা নিজেরাই বহন করি।’
তিনি বলেন, ‘করোনায় সারা বিশ্বে দুই লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে উন্নত দেশগুলোতেই বেশি করে মারা গেছে। কাজেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস আর আস্থা নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কোরান তেলাওয়াত করেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে এই মহাবিপদ কেটে যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, কৃষিনির্ভর এই এলাকায় করোনার কারণে যে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
মন্ত্রী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দেবীগঞ্জ পৌর এলাকার ৪২০ জনের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, আলু বিতরণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দেবীগঞ্জ পৌর প্রশাসক প্রত্যয় হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাসনাৎ জামান চৌধুরী জর্জ ও ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার উপস্থিত ছিলেন।