নিহতের পরিবার বলছে, অপহৃত আক্তার উল্লাহকে (২৪) ছেড়ে দিতে পরিবারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাতরা। তারা ডাকাত আবদুল হাকিমের লোকজন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইক্যং ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমে স্থানীয় এক কৃষকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গত তিন দিন আগে নিহত কৃষকসহ ছয় জনকে অপহরণ করেছিল রোহিঙ্গা ডাকাতরা। তার মধ্যে মুক্তিপণে ছাড়া পায় তিন জন। বাকি তিন জনের মধ্যে এক জনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অপহৃত ওই দুই পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি স্থানীয়রাও ভয়-ভীতির মধ্যে রয়েছে।’
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মশিউর রহমান বলেন, ‘গত তিন দিন আগে রোহিঙ্গা ডাকাতরা ৬ কৃষককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার মধ্যে তিন জনকে ছেড়ে দেয়। তাদের তথ্যমতে, পাহাড়ে অপহৃত ওই তিন জনকে উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ডাকাতদের পাহাড়ে বেশ কিছু আস্তানা ধ্বংস করে দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার ভোরে অপহৃত আক্তার উল্লাহ গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। লাশটি কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়। ডাকাতদের ধরতে পাহাড়ে পুলিশের অভিযান চলছে।’
এদিকে শীর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম ও জাকির গ্রুপের সদস্যদের ধরতে হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছিল র্যাব। তবুও থেমে নেই তাদের অপরাধ কর্ম।