রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল হক বলেন, রোগী গাজীপুরের বাসিন্দা। কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসলে গ্রামবাসী স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে। স্বাস্থ্য বিভাগ তার সংগৃহীত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান। মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রীর সন্তান প্রসব করেন। সন্তানের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে নওগাঁর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে ভর্তি করান। আজ সকাল ৯ টার দিকে করোনার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশসহ প্রশাসনিকভাবে আক্রান্তদের খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। তাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন বিভাগে জানানো হয়। পরে নওগাঁ সদরে তাকে খুজে পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান তার বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে থানার ওসি (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসানের নেতৃত্বে শহরের লিটল ব্রিজে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর পিপিই পরিয়ে তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার স্ত্রী ও নবজাতক সন্তান ক্লিনিকে সে ছিলো সেই ক্লিনিক লকডাউন করা হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি দাবি করেন, আমি মাস্ক পড়ে বাইরে বের হয়েছি। আমার কোনও সমস্যা নেই। কয়দিন আগে রিপোর্ট নিয়ে গেছে আজ রিপোর্ট দিলো।
নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. আ ম আখতারুজ্জামান আলাল বলেন, করোনার প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুত পুলিশকে জানানো হয়। বর্তমানের তাকে হোমকোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এবং তার সংস্পর্শে কতজন এসেছেন তাদেরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে।