ওই নারীর স্বামী রনজিত দাস বলেন, অনেক চেষ্টা করেও কোনও গাড়ি না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। ১৫/২০ জন ড্রাইভার আমাকে না করে দিয়েছিল। মনে করেছিলাম, আর হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবো না। ভগবান কপালে যা রাখছে, তাই হবে। এমন সময় র্যাব স্যার বাইচ্চার মায়ের জীবনটা বাঁচাইছে। স্যারকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা আমার জানা নাই। বর্তমানে মা ও সন্তান দুই জনই সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অফিসার হয়েও এএসপি আনোয়ার যেভাবে একজন প্রসূতি নারীকে গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন এবং কোলে করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। করোনা পরিস্থিতিতে অপরিচিত একজন রোগীকে কোলে নিয়ে বলা যায় তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে র্যাব-৯ এর কমান্ডার এএসপি আনোয়ার হোসেন জানান, আমি রাতের টহল ডিউটিতে ছিলাম। হঠাৎ এক ব্যক্তি ফোন করে আমাকে পরিস্থিতি জানিয়ে সাহায্য চান। রে আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক টহল গাড়ি নিয়ে ওই বাসায় পৌঁছাই এবং প্রসূতি নারীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিই।
প্রসঙ্গত, এএসপি আনোয়ার ৩৪তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তার গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন উত্তর বড়বিল গ্রামে।