পায়ে হেঁটেই ঢাকা ফিরছেন উত্তরবঙ্গের পোশাক শ্রমিকরা

94341798_244882263549343_6818876785652924416_nপোশাক কারখানা খুলবে আগামী রবিবার থেকে, এ খবরে করোনা ঝুঁকির মধ্যেও উত্তরবঙ্গের হাজারও শ্রমিক পায়ে হেঁটেই যার যার কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। শনিবার (২৫ এপ্রিল) এমন চিত্র দেখা যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে।

এদিকে সরকারের সাধারণ ছুটি আগামি ৫ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলেও, গার্মেন্টসের ছুটি বাড়ানো হয়নি। এখন পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ২৫ তারিখ পর্যন্তই ছুটি রয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের।

94582180_2718768638367154_288931920404807680_nসরেজমিনে মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি সিদ্ধান্তে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেকে সেহেরি খেয়েই বাড়ি থেকে রওনা হয়েছেন। ২০-২৫ কিলোমিটার হেঁটে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা এসে তারা যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকে গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই ঢাকার দিকে রওনা হন। তাদের বেশিরভাগই সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাচ্ছেন। অনেককে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপ, লেগুনা, সিএনজি, অটোরিকশাসহ একাধিক গাড়ি পরিবর্তন করেও ঢাকার দিকে যেতে দেখা গেছে। 

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থেকে রওনা হওয়া নাহিদ নামের এক শ্রমিক মির্জাপুর পর্যন্ত এসে পৌঁছান বিকেলে। তিনি  বলেন, ‘অফিস থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়েছে রবিবার (২৬ এপ্রিল) পোশাক কারখানা খোলা হবে। তাই সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে আশুলিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। পায়ে হেঁটে ও রিকশাযোগে মির্জাপুর পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় সাড়ে ৮ ঘন্টা সময় লেগেছে। ভাড়াও লেগেছে অনেক বেশি।’

94785237_2815689731832358_4067092321437483008_nভূঞাপুর থেকে গাজীপুরের পথে রওনা হওয়া রাসেল নামের এক পোশাক শ্রমিক এলেঙ্গা পর্যন্ত বলেন, ‘পোশাক কারখানা থেকে বলা হয়েছে ২৬ এপ্রিল থেকে অবশ্যই কাজে যোগ দিতে হবে। সরকারি ছুটি বাড়লেও আমাদের ছুটি বাড়েনি, তাই কাজে যোগ দিতে গাজীপুরে যাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে মহাসড়কের এলেঙ্গাতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে তারা সেখান থেকে সরে যান।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়ক দিয়ে দলে দলে পোশাক শ্রমিক যাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ। তাহলে তারা কি উদ্দেশ্যে যাচ্ছে সেটিও জানা নেই।’