নগরীর সদর রোড, জেলখানা মোড় চকবাজার, বিবিরপুকুর পাড়, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, জিলা স্কুল মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ২৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীনকে (পাগল) খাবার দেন তিনি।
হোটেল ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ কারণে আমার হোটেলে প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন লোক খাবার খেতো। কেউ চাইতো আবার কেউ এসে হোটেলের সামনে দাড়িয়ে থাকতো। এরপর খাবার দিলে খাবার খেয়ে চলে যেতো। করোনা সংকটে তারা কেউই খাবার পাচ্ছে না বলেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করি আমি।’
তিনি জানান, খাবার বিতরণের কাজটি তিনি জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের অনুমতি নিয়েই করছেন। করোনা সংকট চলাকালীণ সময়ে তিনি খাবার বিতড়ণ অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দরগাহবাড়ি এলাকার বাসিন্দা একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রাহাত পারভেজ এবং তার স্ত্রী শ্রাবন্তি আক্তার রান্না করা খাবার পাত্রে নিয়ে মোটরসাইকেলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অভুক্ত কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন। রাস্তায় কিংবা ময়লাযুক্ত স্থানে না দিয়ে তারা একটি কাগজ বিছিয়ে তার ওপর খাবার দিচ্ছেন। এ দম্পত্তিও জানিয়েছেন, শহরের অভুক্ত প্রাণিদের মাঝে তাদের এ খাবার বিতরণ অব্যাহত থাকবে।