মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল নরসিংদী-১ (সদর) আসনের এমপি মো. নজরুল ইসলাম হীরুর নাম ও ছবি এবং আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কাইয়ুমের নাম ব্যবহার করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময় নিউজ ডটকমে ‘ভিডিও কনফারেন্সে এমপির নাম না বলায় চেম্বার সভাপতি শিশিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তা ওই নিউজ পোর্টালের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার সময় নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলী হোসেন শিশির স্থানীয় এমপির নাম উল্লেখ করেননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেম্বারের সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করান এমপি মো. নজরুল ইসলাম হীরু। মামলায় এমন ঘটনাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও মানহানিকর বলে দাবি করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমপি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কাইয়ুমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয় ও তাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হওয়ায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। এতে জনমনে ঘৃণা, বিদ্বেষ ও ক্ষোভ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনটি চেম্বার সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলী হোসেন শিশিরের অভিযোগের ভিত্তিতেই করা হয়েছে এবং এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনও বক্তব্য ছিল না বলে দাবি করেছেন সাংবাদিক হৃদয় খান।
তিনি বলেন, সংবাদের কোথাও আমার ব্যক্তিগত কোনও মতামত উল্লেখ করা হয়নি। নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলী হোসেন শিশির চেম্বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিচালকদের উপস্থিতিতে একটি বক্তব্য দেন। এসময় চেম্বারের সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার মুহূর্তে সময় স্বল্পতার জন্য নাম বলতে না পারায় এমপি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি (এমপি) বহিষ্কৃত নেতা এসএম কাইয়ুমের সমন্বয়ে তারই কয়েকজন অনুসারী শ্রমিক নেতার মাধ্যমে এ বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছেন।’
হৃদয় খান বলেন, চেম্বার সভাপতির এমন বক্তব্যের ভিত্তিতেই সময় নিউজ ডটকম নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সাংবাদিকের নিজস্ব কোনও বক্তব্য ছিল না। আমাকে ও প্রকাশককে হয়রানির করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান।