সাজেকে হামে আরও এক শিশুর মৃত্যু

রাঙামাটিরাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় হাম রোগে আক্রান্ত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহমদ এবং রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। এই নিয়ে হামে ছয় শিশুর মৃত্যু হলো।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, ‘হাম রোগে পাঁচ শিশু আক্রান্ত ছিল। তার মধ্যে দুই শিশুকে স্থানীয়রা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানে আরও তিন শিশুকে চিকিৎসা দিচ্ছিলো আমাদের মেডিক্যাল টিম। তাদের মধ্যে এক শিশু আজ সকালে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। এ নিয়ে ছয় শিশুর মৃত্যু হলো হাম রোগে।’

তিনি আরও জানান, ‘দুই জন মেডিক্যাল অফিসার, দুই জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ আরেকটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা আজ দুপুরে রওনা দেবে। অন্যদিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হলে আরও মেডিক্যাল টিম পাঠানো হবে।’

এদিকে আজ সোমবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় হাম রোগে করণীয় শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত হাম রোগে আক্রান্ত অন্তত পাঁচ শিশুর মৃত্যুর হয়েছে এবং আক্রান্ত হয় প্রায় ১৬৩ জন। সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রাম অরুনপাড়া, নিউথাং পাড়া এবং হাইচপাড়ায় গতকয়েকদিনে হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

প্রসঙ্গত, আয়তনে দেশের সবচে বড় উপজেলা বাঘাইছড়ির সবচে দুর্গম ইউনিয়ন সাজেক। এই ইউনিয়নের সাজেক পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া বাকি এলাকাগুলো অত্যন্ত দুর্গম। সেখানকার শিয়ালদহ এলাকাটিকে সবচে বেশি দুর্গম বলে বিবেচনা করা হয়। ৬০৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সাজেক ইউনিয়নে লোকসংখ্যা প্রায় ৫২ হাজার। কিন্তু যোগাযোগ দুর্গমতা ও সীমান্তবর্তী অনতিক্রম্য এলাকা হওয়ায় সরকারি জরুরি চিকিৎসা সেবা সেখানে নিয়মিত পৌঁছায় না।