বৃহস্পতিবার রাতে চেম্বার ভবনে রংপুর চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রিভা গাঙ্গুলী দাস ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দেন। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিরাজমান সমস্যাগুলো নিরসনে পর্যায়ক্রমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বস্ত করেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন যেটি ঢাকা থেকে সপ্তাহে পাঁচ বার ভারতে যাতায়াত করছে সেটা বাড়িয়ে ছয় দিন করা হবে। একইসঙ্গে খুলনা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী সপ্তাহে এক দিনের পরিবর্তে দুদিন করা হবে। এছাড়াও দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য আরও কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি। বক্তব্য রাখেন রংপুর চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজতোবা হোসেন রিপন, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ব্যবসায়ী ময়েন উদ্দিন ও জনাব গোলাম রব্বানী জুলফি। ব্যবসায়ীরা অপর্যাপ্ত বন্দর সুবিধা, অশুল্ক বাধা, দুর্বল অবকাঠামো ও রফতানি প্রক্রিয়াকরণ জটিলতা, ভারতের শুল্ক বিভাগে এইচএস কোড জটিলতা, বাংলাদেশি পণ্যের নমুনা ভারতীয় পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় ক্ষেপণ, ন্যূনতম রফতানি মূল্য নির্ধারণ, পাট ও পাটজাত পণ্যে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করাসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন। এগুলোর কারণে ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা থাকলেও রফতানিকারকরা প্রত্যাশা অনুযায়ী পণ্য রফতানি করতে পারছেন না বলে তারা জানান। ব্যবসায়ীরা সমস্যাগুলো দ্রুত নিরসনের পাশাপাশি বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থল বন্দরে রূপান্তরে ভারতীয় হাইকমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।