বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা জানান। পরে মন্ত্রী একযোগে সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এসময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের শুভেচ্ছা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসকে যুগোপযোগী করে তুলতে ৬২ হাজার অগ্নিসেনাকে দক্ষ ভলান্টিয়ারের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। অগ্নিসেনাদের বেতন ১৮ থেকে ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস দুর্যোগ মোকাবেলায় সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (সুরক্ষা ও সেবা) সচিব মো. শহীদুজ্জামান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন, পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জোনের উপপরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল আরেফিন, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকাল সোয়া ১০টায় রূপগঞ্জ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পূর্বাচল স্টেশনে এসে পৌঁছান। পরে বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৯-এর উদ্বোধন করেন। এসময় প্যারেড ও গার্ড অব অনারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানো হয়। অগ্নিদুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন কলা-কৌশলের প্রদর্শন করা হয়।
গত তিন বছরে মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ১৪৪ জনকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সেবা পদক ও বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনকালে নিহত ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে মরণোত্তর পদক প্রদান করেন।