রাস মেলার দর্শনার্থী সেজে হরিণ শিকারের চেষ্টা, ৬০ জন আটক

হরিণ শিকারের সরঞ্জামহরিণ শিকারের বিপুল পরিমাণ ফাঁদসহ ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে। শিকারিদের মধ্যে রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল হোসেনও রয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে মোংলার জয়মনি থেকে বনবিভাগ তাদের আটক করে। তারা রাস মেলাকে ঘিরে যাত্রীবেশে হরিণ শিকারের চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। 

এই শিকারিদের সবারই বাড়ি বাগেরহাটের রামপালের রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আটক হরিণ শিকারিরা

মাহমুদুল হাসান জানান, ‘১০ নভেম্বর রাস মেলাকে ঘিরে আগাম যাত্রা করা যাত্রীদের একটি টিম ছিল এটি। যারা বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা এলাকার বাসিন্দা। অ্যাডভান্স মেলায় অংশ নিতে তারা যাত্রা করেছিল। চাঁদপাই রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সতর্ক দৃষ্টি কারণে বনবিভাগের হাতে এরা আটক হয়। এদের সঙ্গে থাকা তিনটি ট্রলারে হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে নেওয়া বিপুল পরিমাণ রশি ফাঁদ এ সময় জব্দ করা হয়।’

ডিএফও আরও জানান, শিকারিরা মোংলার জয়মনির খালে তিনটি নৌকাসহ হরিণ শিকারের বিপুল পরিমাণ ফাঁদসহ অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বনরক্ষীরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। অভিযানের নেতৃত্ব দেন চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামরুল হাসান।হরিণ শিকারিদের নৌকা

কামরুল হাসান জানান, ‘গোপনে খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করি। এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি নৌকা, বিপুল পরিমাণ ফাঁদ এবং হরিণ শিকারের কাজে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়। আটক শিকারীদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’