পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত সুনামগঞ্জের সড়ক

ক্ষতিগ্রস্ত একটি সড়কটানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে পড়েছে সুনামগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশ। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর জানিয়েছে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, তাহিরপুর, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২০ কিলোমিটার সড়ক, ২৫টি ব্রিজ ও কালভার্টের সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে এসব উপজেলার লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
সম্প্রতি সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে তাহিরপুর উপজেলায়। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া দোয়ারাবাজার- বাংলাবাজার, হালুয়ারঘাট-নারায়নতলা সড়কসহ পাঁচটি উপজেলার ১২টি সড়কে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সীমান্ত সড়ক ও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর সেতুর এক কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ধর্মপাশা-তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, মধ্যনগর, কলমাকান্দা রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
বারিক টিলা থেকে মহেশখলা সীমান্ত সড়কের ১০টি জায়গায় ঢলের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। মানুষ পায়ে হেঁটে, নৌকায় চড়ে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছেন।
টানা বর্ষণ ও ঢলে ভেঙে গেছে সড়কতাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি গ্রামের রফিক মিয়া বলেন, যাদুকাটা নদী দিয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আনোয়ারপুর ব্রিজের সংযোগ সড়কের এক কিলোমিটার অংশ ভেঙে গেছে। চিকসা গ্রামের মাঈনুদ্দিন বলেন, সুনামগঞ্জ-তাহিরপুর সড়ক দিয়ে তিনটি উপজেলার লোকজন বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, ভেঙে যাওয়া সড়ক দ্রুত সংস্কার করা না হলে জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এছাড়া উপজেলার তিনটি শুল্ক স্টেশনের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের চলাচল বিঘ্নিত হবে।
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহমদ বলেন, পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে।