খুলনার ৪টি আসনে ২৩ প্রার্থীর ১৮ জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত





খুলনাখুলনার ৪টি আসনে ধানের শীষের ৩ প্রার্থীসহ ১৮ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই ৪টি আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ২৩ জন। আসন ৪টি হচ্ছে খুলনা ১, ৪, ৫ ও ৬। খুলনা জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
খুলনা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের অশোক কুমার সরকার (৮২৮ ভোট), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী মো. আবু সাঈদ (৫,৯৬৫) ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের সুনীল শুভ রায় (৪,৯২১)। এ আসন থেকে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস।
খুলনা-৪ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল (১৪,১৮৭), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী ইউনুস আহম্মেদ সেখ (৭১২৫), বিপ্লবী ওযার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের প্রার্থী কে এম আলী দাদ (২৬৩), জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের শেখ আনছার আলী (৫২৭) ও বিএনএফ’র টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী শেখ হাবিবুর রহমান (২৯৮)।এ আসন থেকে ২,২৩,৩১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
খুলনা-৫ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিএনপি মনোনীত ধানের শিষের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার (৩২,৮৫৯), কমিউনিষ্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী চিত্ত রঞ্জন গোলদার (৪৯৬), জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শহীদ আলম (৬২৭) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী (৪১৩৩)। এ আসনে ২,৩১,৭১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
খুলনা-৬ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ধানের শিষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ (১৯,২৫৭), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখার প্রার্থী গাজী নূর আহমাদ (২.২৫৮), বিএনএফ’র টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম (১৭২), জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মধু (১৭২৮), জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী শেখ মর্তুজা আল মামুন (৩৩৪) ও কমিউনিষ্ট পার্টির কাস্তে প্রতিকের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র সানা (৪৪২)।এ আসনে ২,৮৪,৩৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আক্তারুজ্জামান বাবু।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, মোট বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট যে সব প্রার্থী পাননি তাদের সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।