আগের দুটি মামলার তদন্তে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এমনকি কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি পুলিশ।
এসব হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তবে এসব হত্যাকাণ্ডে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার পুরোহিত হত্যার ধরন দেখে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের এএসপি গোপিনাথ কানজিলাল জানান, তার মনে হয়েছে এ হত্যায় জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল বাড়ি থেকে কালীগঞ্জের কলেজপাড়া (মাস্টার পাড়ার) কটা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে পূজা করতে যাচ্ছিলেন। মহিষার ভাগাড় সোনাইখালি মাঠে পৌঁছালে দৃর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর একটি মোটরসাইকেলে তিন ব্যক্তিকে চলে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। তাদের ধারণা, মোটরসাইকেলে থাকা ওই তিনজনই তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন,ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা তদন্তের পর জানা যাবে। হত্যাকাণ্ডের পর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়।
পুরোহিত হত্যাকাণ্ডের পরও আইএস হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
এর আগে গত ১৪ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে শিয়া মতালম্বী হোমিও চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাককে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের ভাই শওকত আলী খান বাদী মামলা করেন।
এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নিরব হোসেন জানান, মামলার অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এ মামলায় জনি ও শফি লস্কর নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
গত ৭ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেলেখাল বাজারে জমির উদ্দীন খাজা (৬৫) নামে এক হোমিও চিকিৎসককে ছুরি মেরে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যার পরও আইএস হত্যার দায় স্বীকার করে একটি বার্তা প্রকাশ করে। জমির উদ্দীন ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হয়।
আরও পড়ুন:
বগুড়ায় মসজিদে হামলা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
/এসটি/ এপিএইচ/