রফতানিতে বিকল্প বাজার খোঁজার আহ্বান রেহমান সোবহানের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশকে রফতানির বিকল্প বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে সিপিডি আয়োজিত সংলাপে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু বর্তমানে সেখানে অনিশ্চয়তা এতটাই গভীর যে, এখনই আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং এশিয়ার উদীয়মান বাজারে রফতানি বাড়ানোর কৌশল নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে আগামী ২৫ বছরে এশিয়া হবে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র। এই অঞ্চলকে গুরুত্ব না দিলে পিছিয়ে পড়তে হবে।’

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে প্রায় ১২৭ কোটি ডলারের শুল্ক আদায় করেছে, যেখানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক পেয়েছে মাত্র ১৮ কোটি ডলার।’ তিনি সতর্ক করেন, ‘নিছক শুল্ক কমিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বরং তা আরও শুল্ক লোকসানের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপটি সঞ্চালনা করেন।

বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, ‘এটি পারস্পরিক শুল্ক নয়। যুক্তরাষ্ট্র কী চায়, তা বুঝে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা সহজ নয়। আগে বারবার তারা বলেছে, বাংলাদেশ এখনও প্রস্তুত নয়।’

বক্তারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের উচিত কৌশলগত বাণিজ্যিক পরিকল্পনা তৈরি করা এবং রফতানিতে বহুমুখীকরণ ঘটানো