‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সবার কাছে বিশ্বস্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রকমারি ডট কম। দেশজুড়ে বই ও বিভিন্ন পণ্য গ্রাহকদের কাছে ঝামেলামুক্তভাবে পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১২ সালে যাত্রা শুরু করা রকমারি ডট কম দেশের তথ্য ও বাণিজ্যসেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত ১২ বছরে প্রযুক্তি খাতে রকমারি ডট কমের বিকাশ অভাবনীয়। এই সময়কালে প্রায় ৫ কোটি বই এবং কয়েক লাখ পণ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে রকমারি।
বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখে রকমারি ডট কম নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করে তুলেছে। প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ মানুষ রকমারি ডট কমের ওয়েবসাইট ভিজিট করে খুঁজে নিচ্ছে তাদের পছন্দের পণ্য।
বইয়ের শিল্প ডিজিটাল করতে রকমারির কিছু প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে। এর মধ্যে ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ওয়েবসাইটে একটু পড়ে দেখুন সুবিধা, যেকোনও জায়গা থেকে পণ্য কেনার সুবিধা, যেকোনও মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা, ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপে ই-বুক পড়ার সুবিধা, পাবলিশার ও লেখকদের নিজস্ব প্যানেলসহ আরও অনেক উদ্যোগ কাজ করেছে।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ই-বুক রয়েছে রকমারি ডট কমে, যা সংগ্রহের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ই-বুক পড়ার জন্য আলাদা অ্যাপের প্রয়োজন নেই। যে কেউ ব্রাউজার কিংবা রকমারির অ্যাপেই পড়ে নিতে পারবে। রকমারি ই-বুকে প্রয়োজনীয় সব ফিচারই রাখা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মতে, ই-বুকের প্ল্যাটফর্ম ও ফরম্যাট পাঠকদের সম্পূর্ণ নিরাপদ ও নান্দনিক পাঠ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে এবং সেই সাথে সিকুরিটি ফিচার নিশ্চিত করা হয়েছে। পাঠকদের পড়ার সময় যাতে বিঘ্ন না ঘটে তাই তারা নিজের ইচ্ছেমতো ফন্ট সাইজ, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার, এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক রিডিং সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।
শুধু নিজেদের কর্মীদের প্রশিক্ষণ নয় বরং বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল লিটারেসি, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল হবে না, তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় রকমারি ডট কম।
রকমারি ডট কমের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, বাংলা বইয়ের জন্য তেমন কোনও ওয়েবসাইট ছিল না। জানা যেত না বই কোন প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। সারা দেশে বইয়ের লাইব্রেরি ও প্রকশনী উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের আনাচকানাচে বই পৌঁছে দেওয়া। বইয়ের অভাবে কেউ যেন তার পড়া বন্ধ না রাখে।
তিনি আরও বলেন, পাবলিশারের নিজের বইয়ের তথ্য নিজেদের কাছে ঠিকমতো সংরক্ষণ করাও চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ জন্য আমাদের প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে। আমরা ফিজিক্যাল বই অফিসে এনে আমাদের ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রি করতাম। আমাদের লক্ষ্য ছিল পাবলিশারদের ডিজিটাল নলেজ প্রদান করা। সেদিক দিয়ে আমরা এখন যথেষ্ট সফলতার মুখ দেখছি। পাবলিশাররা নিজেরাই এখন নিজেদের বই আমাদের সাইটে ইনপুট করতে পারছে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের ওপর ইফিশিয়েন্সি ইমপ্রুভ করেছে। তারা তাদের স্টক মেইনটেইন করতে পারছেন। তারাই তাদের ডিজিটাল প্রেজেন্স নিশ্চিত করতে পারছেন।