বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের অন্যতম বাহন ট্যুরিজম: পর্যটনমন্ত্রী

রাশেদ খান মেননবেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ট্যুরিজম এখন আর দেশ দেখার মাঝে সীমাবদ্ধ নেই। এটি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের অন্যতম বাহন। এখন হেলথ ট্যুরিজম, ইকো ট্যুরিজম, আর্কিওলজিক্যাল ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, কমিউনিটি ট্যুরিজম এবং মুসলিম দেশগুলোয় হালাল ট্যুরিজম বিকশিত হচ্ছে, এরই প্রতিফলন জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এ ট্যুরিজমকে অন্তর্ভুক্তকরণ।
শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যাংকোয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত Photo sharing & Reviwe Contest এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। নারীদেরকে পর্যটনে উৎসাহিত করতে অনলাইনে আলোকচিত্র সংগ্রহ করে বিটিবি। অনলাইনভিত্তিক এই ক্যাম্পেইনে সহায়তা করেছে TripZip.tours নামক নারীদের একটি সংগঠন।
বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ জামান খান কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুজ্জামান, বিপিসি এর চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি মিস. সেলিমা আহমেদ, নারী উদ্যোক্তা মনোয়ারা হাকিম আলী এবং ইউএন উইমেন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিস. ক্রিস্টিনা হান্টার বক্তৃতা করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আবহমানকাল ধরে এ দেশের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা, চৈনিক পরিভ্রাজক হি ইউয়েন সাং, ফা-হিয়েনরা এ দেশের সৌন্দর্যের কাহিনী পৃথিবীর পথে পথে ছড়িয়ে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ দেশ হয়ে ওঠে বসবাস ও বাণিজ্যের স্বর্গউদ্যান। ইতিহাসের সেই সোনালী দিনকে আবার ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সরকার পর্যটনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২০১৬কে পর্যটনবর্ষ ঘোষণা করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পর্যটন বিষয়ে নারীদের সম্পৃক্ততা কম। নারীদের ভ্রমণে উৎসাহিত করতে সরকার কাজ করছে। নারীদের আলোকচিত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রচারণামূলক ক্যাম্পেইন পর্যটন শিল্পের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে এবং পর্যটন উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

/এসআই /এএইচ/