শেয়ার বাজার চাঙ্গা করতে এবার উদ্যোগ নিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কোম্পানির শেয়ার বিক্রির মুনাফার ওপর করের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এতে করে শেয়ার বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। সোমবার (৪ নভেম্বর) এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনে শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে ওই শেয়ার ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়কালে বিক্রি করে মূলধনি আয় অর্জন করলে তার ওপর সাধারণ হারে কর আরোপ করা হয়। বিদ্যমান আইন অনুসারে ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি আয়ের ওপর সর্বোচ্চ করের হার হলো ৩০ শতাংশ। কিন্তু সম্পদশালী করদাতাদের প্রদেয় করের ওপর বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। এতে শেয়ার বাজার থেকে অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর বিদ্যমান আইন অনুসারে আয়কর ও সারসার্জ বাবদ মোট ৪০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর প্রদেয় হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার অর্জন পরবর্তি লেনদেনের সময়কাল নির্বেশেষে অর্থাৎ শেয়ার ক্রয়ের ৫ বছরের মধ্যে অথবা ৫ বছরের পরে সব ক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনি আয়ের ওপর করের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে গত ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুন সময়কালে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার বেশি অর্জিত মূলধনি আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে ১৫ শতাংশ কর এবং করদাতার নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ, ১০ কোটি টাকার বেশি হলে ২০ শতাংশ, ২০ কোটি টাকার বেশি হলে ৩০ শতাংশ এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে ৩৫ শতাংশ হারে সারসার্জ দিতে হবে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাসহ অন্যান্য সব করদাতার ক্ষেত্রে গত ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুন সময়কালে (করবর্ষ-২০২৫-২০২৬), স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন থেকে ৫০ লাখ টাকার অধিক অর্জিত মূলধনি মুনাফার ওপর প্রদেয় আয়কর ও সারচার্জ বাবদ সর্বোচ্চ করের হার ৪০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ করায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে।