বিএসইসি কার্যালয়ের নিরাপত্তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ের নিরাপত্তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী।

সোমবার (৭ অক্টোবর) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামো হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এর সুরক্ষায় দায়বদ্ধ থাকবে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যক্রম যথাযথ প্রক্রিয়ায় ও নির্বিঘ্নভাবে করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরই ধরাবাহিকতায় রবিবার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সঙ্গে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিএসইসির সরকার ঘোষিত গুরত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর (সিআইআই) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসইসি’র সুষ্ঠু নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগারগাঁও শেরে বাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহায়তা করবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

আগের দিন রবিবার (৬ অক্টোবর) পুঁজিবাজারে ক্রমাগত দরপতনের জন্য বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলের বক চত্বরে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা।

এর আগে শনিবারের মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েও কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা লাগাতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবারও লংমার্চ কর্মসূচি দিয়ে বিনিয়োগকারীরা বৃষ্টির মধ্যে মতিঝিলে জড়ো হন এবং বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।