ব্যাংকিং খাতকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি: আহসান এইচ মনসুর

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংকিং খাতকে আমরা ধ্বংস করে ফেলেছি। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। কেন এ অবস্থা হলো তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।

সোমবার (১০ জুন) সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব এবং সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, উচ্চ আয়ের তো পরের কথা, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে রাজস্ব আয় ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজস্ব সংগ্রহে ব্যর্থতার কারণে দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথে। রাজস্ব খাত এবং আর্থিক খাত সংস্কার অর্থনীতির জন্য এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এ দুটি খাতের সংস্কার নিয়ে বাজেটে তেমন কিছু বলা হয়নি। তার মতে, সংস্কারের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার দরকার।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানো বাজেটের বিষয় নয়। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য গত মাসে সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। বিনিময় হার বাজারভিত্তিক হওয়ার পথে অগ্রসর হয়েছে। বাজেট মুদ্রানীতির জন্য সহায়ক অবস্থান ঘোষণা করেছে, যা ইতিবাচক। সুদের হার আবার বেধে না দিলে এবং টাকা-ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকলে আগামী ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন। তবে মূল্যস্ফীতি কমবে মানে এই নয় যে মূল্যস্তর কমবে, মূল্যবৃদ্ধির হার কমবে।

আলোচনায় আরও অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ। সমাপনী বক্তব্য দেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।