চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী বাজেট: ঢাকা চেম্বার

এ বছর সরকার প্রস্তাবিত বাজটে  রাজস্ব আদায় বাড়ানো, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ডিসিসিআই আয়োজিত এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২ শতাংশ কম নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও এটি অনেক বেশি যা বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তনের আহ্বান জানান এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় এনে কর পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান।

এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬ শতাংশ যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধাগ্রস্তা হবে না। তিনি করজাল বৃদ্ধির জন্য জোরারোপ করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু জায়গায় কর ও মূসক কমিয়েছে। আবার কিছু কিছু পণ্যের ওপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ওপর শর্তসাপেক্ষে ২.৫ শতাংশ করপোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।