ইভ্যালির দেনা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা: শামীমা নাসরিন

ইভ্যালির সহ-উদ্যোক্তা শামীমা নাসরিন জানিয়েছেন, আলোচিত এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির দেনা এক হাজার কোটি নয় ৪শ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে চলবে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কেমন হবে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী এসব বিষয় জানাতে এই অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে ইভ্যালি।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির আগের অর্ডার, রিফান্ড ও ডেলিভারির বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

শামীমা নাসরিন বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসা পরিচালনাকালীন সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, আমাদের দেনা আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার মতো। সম্পূর্ণ দেনার হিসাবের রিপোর্ট সংগ্রহ করার কিছুটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই আমরা ছয় মাস চেয়েছিলাম। গ্রেফতারের পর আমাদের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলকে প্রশ্ন করা হয়, গ্রাহকদের হাজার কোটি টাকা কোথায়? এই টাকা আমরা আত্মসাৎ করেছি কিনা? তখন কোনও অ্যামাউন্ট উল্লেখ না করে রাসেল জানান, টাকা আত্মসাৎ করার প্রশ্নই আসে না। যাদের ডেলিভারি পেন্ডিং আছে তাদের টাকা মোট দায়ের হিসেবের মধ্যেই আছে। বিজনেস প্রফিট এবং বিনিয়োগ থেকে এই লস এর ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব ছিল, এখনও আছে। সেই স্টেটমেন্ট থেকে হয়তো সঠিক ও সম্পূর্ণ অডিট ছাড়াই ১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির কথা তারা  উল্লেখ করেছেন। আমাদের দেনা কত সেটার সঠিক সংখ্যা অবশ্যই বলা সম্ভব। তবে সেটা সার্ভার রিকভারির ওপর নির্ভরশীল এবং কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি ইভ্যালির ৪৫ লাখ ক্রেতা ও ৩০ হাজার বিক্রেতা দৈনন্দিন প্রয়োজনে নিয়মিত কেনাকাটা করলে সহজেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসা সম্ভব। অনেকেই হয়তো অবগত আছেন, আগে ইভ্যালিতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমাদের সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি হলে খুব সহজেই বিনিয়োগ আসা সম্ভব।