ইরানের ড্রোন কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শুক্রবার দেশটির অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এখবর জানিয়েছে।
ভিয়েনায় পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরুর আগে চাপ প্রয়োগ করতে এই যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের সশস্ত্র ড্রোন আন্তর্জাতিক জাহাজ ও মার্কিন সেনাদের ওপর হামলায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পের (আইআরজিসি) বিরুদ্ধে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ করা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ইরানি ড্রোন ইথিওপিয়াতে দেখা গেছে। যেখানে ক্রমবর্ধমান সংকট বৃহত্তর অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করছে।
‘অঞ্চলটি জুড়ে আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি ইরানের ড্রোন’, বিবৃতিতে বলেছেন মার্কিন উপ-অর্থমন্ত্রী।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়া ব্যক্তি ও সংগঠনগুলোর আইআরজিসি’র সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এই বাহিনীকে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।