X
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
১০ বৈশাখ ১৪৩২

জিএসপি প্লাস সুবিধা ইইউ’র রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১৬আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:১৭

বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস (GSP+) দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ে ইইউ’র প্রশ্ন রয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

জিএসপি প্লাস সুবিধার বিষয়ে এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে জিএসপি প্লাস (GSP+) সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি-কোটা ফ্রি বাজার সুবিধা পাচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তর ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী ৩ বছর ট্রানজিশন টাইম পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ এর পর ইইউ’তে যাতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা অব্যাহত রাখতে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদা অনুযায়ী National Action Plan for the labour sector প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাস এর শর্ত পূরণে minimum age convention, 1973 (C138) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইইউ’র বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশু শ্রম ও সুশাসন বিষয়ক বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে কি না সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রণয়ন করছে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায় তার জন্য সরকার কাজ করছে।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে সব চেয়ে বেশি পণ্য রফতানি করে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছয় হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।

/ইএইচএস/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৩ এপ্রিল, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (২৩ এপ্রিল, ২০২৫)
ওলমোর গোলে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে বার্সা
ওলমোর গোলে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে বার্সা
বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক বিশেষ ভ্যান চালু
বিড়ালসহ বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক বিশেষ ভ্যান চালু
আ.লীগ হত্যাকারী সংগঠন, আমরা তাদের ফিরতে দেবো না
এনসিপির বিক্ষোভআ.লীগ হত্যাকারী সংগঠন, আমরা তাদের ফিরতে দেবো না
সর্বাধিক পঠিত
মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মহাখালী-সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ
ভবদহ সমস্যা সমাধানে তিন নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: রিজওয়ানা হাসান
ভবদহ সমস্যা সমাধানে তিন নদী খনন করবে সেনাবাহিনী: রিজওয়ানা হাসান
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব 
বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ জন সৈন্য নেবে কাতার: প্রেস সচিব 
‘৩ মাসের জন্য এসেছিলাম, হয়ে গেছে ২৫ বছর’
‘৩ মাসের জন্য এসেছিলাম, হয়ে গেছে ২৫ বছর’
শাহজালালে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা দেশি-বিদেশি যাত্রীদের
ছয় মাসে ১৪২৪ মোবাইল জব্দশাহজালালে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা দেশি-বিদেশি যাত্রীদের