ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনার বিধান সত্ত্বেও করোনার অজুহাতে সুপ্রিম কোর্টে চারটি বেঞ্চ দিয়ে বিচারকার্য পরিচালনা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ আইনজীবীরা। রবিবার (১১ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, ‘দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আদালত পরিচালনার জন্য সরকার আইন করেছে। সেই আইনের আলোকে করোনার প্রথম দফায় ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চে বিচারকার্য পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মাত্র চারটি বেঞ্চ দিয়ে ভার্চুয়ালভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য চলছে। তাই অতি দ্রুত আমরা পূর্বের মতো ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কোর্ট খুলে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সভায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার শেখ ওবায়দুর রহমান, অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আব্দুল মান্নান মোহন, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট কবির ফরায়েজি তালুকদার, মো. ঈসা, রেজাউল ইসলাম রিয়াজ, মো. মাসুদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ প্রমুখ আইনজীবী।
পরে আইনজীবীরা একই দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে একসপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। গত ৪ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ওই প্রজ্ঞাপনের ধারাবাহিকতায় লকডাউন চলাকালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দু’দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতসমূহের মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকার্য পরিচালিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।