X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরা হয়ে উঠুক বাংলাদেশ

উদিসা ইসলাম
০৭ এপ্রিল ২০২১, ২৩:৩৯আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২১, ২৩:৩৯

সাতক্ষীরার কয়েকজন মানুষ, কয়েকটি সংগঠনের অভিজ্ঞতা সুতার ফোঁড়ে বুনে বুনে তৈরি করেছেন অনন্য উদাহরণ। যখন কিনা টেলিভিশনের টকশোতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারকে সমালোচনা করে নানা বক্তব্য দেওয়ার প্রবণতা বেশি, তখন সাতক্ষীরার নানা পেশার কয়েকজন মানুষ নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন দায়িত্ব।৯টি দলে ভাগ হয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সতর্ক করে চলেছেন— করোনা থেকে বাঁচতে হলে কী করতে হবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে অবস্থা, তাতে করে সাতক্ষীরার এই মানুষগুলোর মতো প্রতিটি শহরে আপামর জনসাধারণকে সচেতন করে তুলবেন, এমন মানুষ দরকার। 

করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে একবছর ধরে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করলেও গত কয়েকদিন হলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে— তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে বিভিন্ন পোস্ট। 

কী করছেন আপনারা, কবে থেকে করছেন এমন প্রশ্নে বেসরকারি সংস্থা ‘স্বদেশ’ এর নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তেমন কিছু করতে পারছি কই? ৩৫ জন কোভিড নিয়ে মারা গেলো, শত শত কোভিডের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলো। কী যে আছে সামনে! এরপরেও এলাকার মানুষ সতর্ক না। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। আমরা তাদেরকে সেই জায়গায় সতর্ক করার চেষ্টা করছি।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ফেসবুকে লিখেছেন— ‘মাধব দত্ত। একজন নিবেদিত প্রাণ মানবাধিকারকর্মী। করোনার ভয়াবহতা রোধে এলাকার মানুষকে সতর্ক করতে একজন সহকর্মীকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের ছবিটা দেখছি আর ভাবছি, মানুষকে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মানুষ ফুরিয়ে যায় নাই।’

তবে মাধব দত্ত এ কাজের কৃতিত্ব নিজে নিতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মতো আমাদের এখানেও জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কার্যক্রম রয়েছে। কিন্তু সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সেখান থেকেই রাজনৈতিক-সামাজিক অ্যাক্টিভিস্ট, চিকিৎসক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মিলে কাজটা করছি।’  মাধব দত্ত বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সচেতনতার কাজ করবো। আপনারা জানেন, সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা। ভারতে কোভিড পরিস্থিতি ভালো না। ফলে সীমান্ত এলাকায় কাজ করা দরকার। এছাড়া

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষ আদৌ সতর্ক জীবন-যাপন করছে কিনা, আমরা সেটাও মনিটর করবো।’ প্রতিটি মানুষ নিজের দায়িত্বটুকু পালন করলে শিগগিরই এই দুরাবস্থাকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
দ্বিতীয় বিয়ে করায় ছেলের আঘাতে প্রাণ গেলো বাবার
নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ৮
নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ৮
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
লাল কৃষ্ণচূড়া, বেগুনি জারুলে ছুঁয়ে যায় তপ্ত হৃদয়
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!