জনবল কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে অনেক অফিসগুলোতে। কিন্তু তাতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে না বলে জানা গেছে। সরকারের নির্দেশনা মানতে শুরু করতে পারেনি অনেকেই। নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি খোদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও। সেখানে রোস্টার তৈরির কাজ চলছে। তৈরিতে আরও দুয়েক দিন লাগবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নির্দেশনা বাস্তবায়নের আলামত চোখে পড়েনি।
৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কয়েকটি সংগঠনের নির্বাচন রয়েছে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। সেসব নির্বাচনের কী হবে সে বিষয়ে এখনও চলছে আলোচনা।
এরই মধ্যে ৫ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের লক্ষ্যে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের ২০২১-২৩ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থীসহ পরিচালক পদে ৮৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিনিষেধ পরিপালনের কোনও বালাই ছিল না।
সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে অবশ্যই এসব নির্বাচন স্থগিত করতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে জারি করেছে প্রজ্ঞাপন। এখন থেকে ব্যাংকগুলোতে দেখা যাবে ৫০ ভাগ কর্মী।
এ প্রসঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংগঠন এবিবি'র সাবেক চেয়ারম্যান ও বেসরকারি খাতের মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসারেই আমাদের চলতে হয়। এমনিতে ব্যাংকগুলো নিজেরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছে।
অন্যদিকে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, দু-একদিনের মধ্যে অর্ধেক জনবল নিয়ে সরকারি অফিস পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। আমরা একটি রোস্টার বানাবো। সেক্ষেত্রে হয়তো কাউকে তিন দিন অফিসে থাকতে হবে, দুই দিন বাসায় থেকে কাজ করবেন। আবার পরের সপ্তাহে আগে যারা বাসায় ছিলেন, তারা কাজ করবেন অফিসে। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মকর্তা, অসুস্থ, গর্ভবতীদের অফিসে আসতে নিষেধ করেছি।
এর আগে, গত সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ১৮ দফা নির্দেশনায় জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানাগুলোকেও ৫০ শতাংশ জনবল দিয়ে কাজ পরিচালনা করতে বলা হয়। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বুধবার (৩১ মার্চ) জানিয়েছেন, জনবল ৫০ শতাংশ কমিয়ে কারখানা চালু রাখা বা রফতানি বাণিজ্য সচল রাখা সম্ভব নয়। তবে কারখানাগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।