X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এতো দামে আর বিক্রি হয়নি পাট

দুলাল আবদুল্লাহ, রাজশাহী
০৪ মার্চ ২০২১, ১১:৩২আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২১, ১১:৫৬

পাটের দাম নিয়ে সংশয়-এ কথা এ বছর ভুলেছেন কৃষকরা। সোনালী আঁশে ফিরেছে সুদিন। পাট ওঠার শুরুর দিকে ১৬০০ থেকে ১৮০০ বা দুই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন দাম এই প্রথম, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। পাটের বেশি দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক ও ব্যবসায়ীরাও।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামসুল হক জানায়, রাজশাহী জেলায় গত বছর (২০২০) পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ২৬ হেক্টর বেড়ে চাষাবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে। আর ২০১৯ সালে ১৩ হাজার ৮৪৬ হেক্টর জমিতে পাটের চাষাবাদ হয়েছিল। পাটের চাষ বেশি, ফলন ভালো ও দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পাট চাষে সুদিন ফিরেছে

পাট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, ‘গত বছর এক মণ পাট বিক্রি হয়েছে ১৪শ' থেকে ১৫শ' টাকায়। পরের দিকে দাম বাড়ে কিছুটা। এবার পাট উঠার শুরুর দিকে ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ বা দুই হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। পরের দিকে প্রতি সপ্তায় দুই-তিনশ’ টাকা করে বেড়েছে প্রতি মণে। এভাবে বাড়তে বাড়তে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে এখনও বলা যাচ্ছে না, পাটের দাম আরও বাড়বে কিনা। কারণ বিশ্ব বাজারে সুতার দাম বেড়েছে, তাই পাটের দাম বাড়তে পারে বলে বড় বড় আড়তদাররা জানাচ্ছেন।’

চাষিরা জানান, মূলত জুলাই মাসের পর চাষিরা পাট বিক্রি করতে শুরু করেন। তবে সারা বছরই এই ‘সোনালী আঁশের’ বিক্রি চলে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের পাটচাষি ইমরান আলী জানান, ‘সাত বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছিল। দাম পাবো না বলে প্রথমের দিকে পাট বিক্রি করেছিলাম। তবে সেই তুলনায় এখন ডাবল পাটের দাম। ভাবতে পারিনি পাটের এতো দাম হবে এবার।’

রাজশাহী রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান জানান, দেশ থেকে প্রতিবছরই পাট রফতানি বেড়েছে। এ কারণে পাটের দামও বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক কোটি ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৭৪ ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৮৭৯ দশমিক ৫৫ ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই কোটি ৩৪ লাখ সাত হাজার ৫২৮ দশমিক ১৫ ডলারের পাট রফতানি হয়েছে রাজশাহী থেকে। পাটের দাম বাড়ার পেছনে এটিও একটি কারণ বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা।  

কৃষিবিদ শামসুল হক আরও বলেন, ‘পাটের দাম ভালো থাকায় কয়েক বছর থেকে পাটের আবাদ বেড়েছে। সরকারি পাটকল বন্ধ। তবুও পাট বিক্রিতে কৃষকের সমস্যা হবে না। কারণ বেসরকারি পাট কলগুলো রয়েছে। এছাড়া বিদেশে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় জিনিস থেকে মানুষ ফিরে আসছে। তাদের মধ্যে পাটের তৈরি ব্যাগের চাহিদা বেশি। পাট চাষে কৃষকের সুদিন ফিরেছে।’

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!