X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলবাদীদের সঙ্গে জোট নিয়ে কংগ্রেসে বিরোধ

বিদেশ ডেস্ক
০২ মার্চ ২০২১, ২২:৪৪আপডেট : ০২ মার্চ ২০২১, ২২:৪৪

পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)- এর সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে রাজ্য কংগ্রেসে বিরোধ দেখা দিয়েছে। আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিক ‘ভাইজান’ বলে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে পরিচিত। কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে হুগলি জেলার ফুরফুরা মাজারে তার বাড়ি। ওই মাজারের একজন পিরজাদা তিনি। ভারতের মুসলমানদের কাছে আজমির শরিফের পর এই মাজারটির অবস্থান। লোক সমাবেশ করতে পারেন বলে ‘ভাইজান’-র পরিচিতি রয়েছে। বাম-কংগ্রেস সমাবেশে তার উপস্থিতি কংগ্রেসে দলীয় কোন্দলের জন্ম দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা দলটির রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মঞ্চে আইএসএফ প্রধানের কী করছিলেন তা জানতে চেয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন,  আইএসএফের মতো শক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা নেহরু-গান্ধীর ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার সঙ্গে খাপ খায় না। বিষয়টি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।

আনন্দ আরও লিখেছেন, ‘মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস কখনও বাছ-বিচার করতে পারে না। মৌলবাদীতার বিরুদ্ধে আমাদের সব উপায়ে অবশ্যই লড়াই করতে হবে। ওই মঞ্চে পশ্চিম বঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির উপস্থিতি ও সমর্থন বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক! তার অবস্থান স্পষ্ট করা উচিত।’

অধীর চৌধুরী দলের সহকর্মীর প্রশ্নের দ্রুত জবাব দিয়েছেন। আশ্বস্ত করেছেন যে, দলের নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া তিনি কোনও পদক্ষেপ নেবেন না।

তিনি লিখেছেন, ‘এই মন্তব্য বেদনাদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক! জোট গড়ে ওঠায় বাংলায় যাদের অসুবিধা হচ্ছে, তাদের কেউ হয়তো তাকে বিভ্রান্ত করে থাকতে পারেন। সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, বিমান বসুরা সবাই মঞ্চে ছিলেন। তারা সবাই মৌলবাদী শক্তির হাত ধরলেন, এমন ধারণা কী করে হলো, ভাবতে অদ্ভুত লাগছে। যাদের বিরুদ্ধে আনন্দ শর্মাদের বলা উচিত, তাদের বিরুদ্ধে না বলে উনি নিশানা করছেন তাদের, যারা মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে!’

কমিউনিস্টদের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করে অধীর আরও বলেন, ‘কীভাবে চলতে হবে, সেটা কোনও ব্যক্তির বিষয় নয়। এআইসিসি-র সঙ্গে কথা বলে প্রদেশ কংগ্রেস পথ ঠিক করে এবং বাংলায় আমরা সেটাই করছি।’

রবিবার ভাষণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস সভাপতিকে হতাশ দেখাচ্ছিল। যখন বাম-কংগ্রেস সমাবেশে সিদ্দিকের উপস্থিতিতে সমর্থকরা স্লোগান দেন। এসময় তিনি ভাষণ বন্ধ করে দেন। সিপিএম নেতা মো. সেলিম মঞ্চে এসে সিদ্দিকের ভাষণ দেওয়া দরকার। বিরক্ত হয়ে চলে যান অধীর। আরেক বাম নেতা বিমান বোস এগিয়ে আসেন এবং কংগ্রেস নেতা ভাষণ চালিয়ে যেতে বলেন।

এরপর থেকেই অধীর চৌধুরী বেশ কয়েকবার ওই ঘটনা ভুল বোঝাবুঝি বলে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, আব্বাসকে দেখে উল্লাসিত সমর্থকদের আমি কথা বলা বন্ধ করি। আমি অপেক্ষায় ছিলাম স্লোগান থামলে আবার কথা বলব। এই ঘটনায় এতো মনোযোগের পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে।

 

/এএ/
সম্পর্কিত
ভারতে দ্বিতীয় দফায় ভোটপ্রচণ্ড গরমেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার, ভোটদানের হার ৬১ শতাংশ
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
কেমন চলছে ভারতের লোকসভার দ্বিতীয় দফার ভোট?
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
কুষ্টিয়ায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা