X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমরা কোন দিকে যাচ্ছি!

কবীর চৌধুরী তন্ময়
২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৩১আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৩২







কবীর চৌধুরী তন্ময় মাটিতে বারি দিলে নাকি গুনাহগার তেড়ে আসে, রাগান্বিত হয়ে পড়ে- এই কথাটি বাবা প্রায়ই শোনাতেন। আবার স্কুল সময়ের অনেক শিক্ষকরাও এমন কথা বলে আমাদের শাসাতেন। তখন ভাবতে ভাবতে বেলা শেষ হলেও বিষয়টি খুব বোঝে আসতো না। কিন্তু বর্তমান আধুনিক তথ্য-প্রমাণ আর মানবিক সভ্যতায় বেলা শেষ করা যাবে না। বরং বেলা থাকতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, আলোতেও অনেক সময় সুই-সুতা একসাথে করা কঠিন হয়ে পড়ে, বিপত্তি ঘটে।



স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের বয়স পঞ্চাশের ঘরে। এই অর্ধশতটাকে রীতিমতো বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ বলার সময় এসেছে, বিবেচনা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। হাঁটি হাঁটি পা-পা করে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই ছোট্ট দেশটি কী অর্জন করেছে, কী অগ্রগতি হয়েছে আর কতটুকু সভ্যতায় বিচরণ করছে- এটিও বিচার-বিশ্লেষণ আর অনুধাবন করতে ঊনপঞ্চাশের ঘরটি যথেষ্ট বলা যেতে পারে।

আমরা জানি, তথাকথিত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের পর পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ, নির্যাতন ও বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য নাগরিকরা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ভারত-রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের ১৯৭২ সালের পবিত্র সংবিধানে স্বাধীনতার চেতনাসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় মূলনীতি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতত্ত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।

কিন্তু বয়সের ঘর পঞ্চাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে প্রশ্ন করতে পারেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়গুলো আদৌ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে?

আমরা জানি, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান এই বাঙালির জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে যেভাবে ধ্বংস করেছে, জিয়াউর রহমান যে ক্ষতি করে দিয়ে গেছে, আমরা তার কতটুকু পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি? আরেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে সর্বনাশ করে দিয়েছে, তার বিপরীতে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কতটুকু কাজ করেছি বা করতে পেরেছি? দুই সামরিক শাসকের ধারাবাহিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিএনপি যা যা করেছে, স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে যেভাবে সাম্প্রদায়িক করেছে, করার চেষ্টা করেছে, স্বাধীনতার পক্ষের সরকার, সংগঠন ও ব্যক্তিবিশেষ কী করেছি- এটি মূল্যায়নের দাবি রাখে।

দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় স্বাধীনতার পক্ষের সরকার মহাজোট। অথচ নিখুঁত-নির্ভুল ও বিতর্কবিহীন একটি রাজাকারের তালিকা প্রস্তুত করতে পারিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদের এই সরকারের কতিপয় এমপি, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী যেখানে পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মহলকে ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগ বানাতে মরিয়া হয়েছে, যেখানে জামায়াতে ইসলামের আমিরের ছেলে- ছাত্রশিবিরের সভাপতিকে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে মাঠের রাজনীতিতে অংশীদার করা হয়, সেখানে নানাবিধ প্রশ্নের উদয় হয়, মনে সংশয় সৃষ্টি হয়- আমরা মূলত কোন দিকে যাচ্ছি?

শুধু তা-ই নয়, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশনে যখন ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অংশটি বাদ দিয়ে প্রদর্শন করা হয়, তাহলে কি এটাই মানতে হবে বা মনে করতে হবে যে, একশ্রেণির মৌলবাদের আদর্শ-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথেই এগুচ্ছে বাংলাদেশ?

মূলত, একটি দেশের সোনালি ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার জনগণের ওপর। যে দেশের জনগণ যতটা সভ্য, যতটা দেশপ্রেমিক- ওই দেশ ততটাই শক্তিশালী। আর এই শক্তিশালী জনগণ সৃষ্টি হয় একটি দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানাশোনার মধ্য দিয়ে। যা ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে রীতিমত পরিকল্পনা গ্রহণ করে সেই ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে, মুছে ফেলেছে এবং অলিখিতভাবে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।

জিয়া-এরশাদ আর খালেদা-গোলাম আযমদের কাছ থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা আশা করা মানে আপনি বিএনপি-জামায়াত ইসলাম আর এরশাদের জাতীয় পার্টির গঠন প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক আদর্শ-উদ্দেশ্য নিয়ে ততটা অবগত নন অথবা আপনি জেনেও না জানার অভিনয় করছেন!

কিন্তু স্বাধীনতার পক্ষের দল-সরকারের কাছে নিশ্চয় আশা করতে পারেন, আশা করার অধিকারও আছে। তবে এ সরকার আমাদের আশার জায়গাতেও কিছু হতাশা সৃষ্টি করেছে। যেমন, ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য ২০১৯ সালে পুনর্মুদ্রিত নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস বিকৃতি দেখা গেছে। ১০৬ নম্বর পৃষ্ঠার ৭.২ পরিচ্ছেদে ‘বাংলাদেশের প্রশাসন ব্যবস্থা’ অধ্যায়ের তিন নম্বর লাইনে লেখা হয়েছে ‘১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে’।

তাহলে আপনিও প্রশ্ন করতে পারেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি ‘স্বাধীনতা’, নাকি ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়’ অর্জিত হয়? কোনটা সঠিক? আর কি পড়ানো হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থীদের?

আবার ২৮ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘১৯৭২ সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য’ অনুচ্ছেদের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর লাইনে লেখা হয়েছে, “এ সংবিধানে বাংলাদেশকে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত। ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’- সংবিধানের এ ঘোষণা দ্বারা জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”

আর সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে,’ অথচ, নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইটির ১০২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘রাষ্ট্রপতির জরুরি ক্ষমতা’ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি যদি বুঝতে পারেন যে, যুদ্ধ, বহিঃশক্তির আক্রমণ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারণে বাংলাদেশ বা এর কোনও অংশের নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক জীবন বিপদের সম্মুখীন হয় তাহলে তিনি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।’

পাঠক, যেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার ছিল মুজিবনগর সরকার আর স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেখানে বইটির ২২ নম্বর পৃষ্ঠার ৬ ও ৭ নম্বর লাইনে লেখা হয়েছে, ‘তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও স্বাধীন বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি।’

এভাবে নবম ও দশম শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের জাতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলি অনুচ্ছেদের ৪ নম্বরে (৬৬ নম্বর পৃষ্ঠায়), অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যবইয়ের ৩০ নম্বর পৃষ্ঠায় দ্বিতীয় প্যারার ৪ ও ৫ নম্বর লাইনে, ১৭ নম্বর পৃষ্ঠার ২ নম্বর লাইনে, ৭৯ পৃষ্ঠার ১০ ও ১১ নম্বর লাইনে, ৮০ নম্বর পৃষ্ঠার প্রথম লাইনে, সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ৭ নম্বর পৃষ্ঠার, ১০ নম্বর পৃষ্ঠার ৫ ও ৬ নম্বর লাইনে,  ৫৫ নম্বর পৃষ্ঠায়, ষষ্ঠ শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ের ‘বাংলাদেশের ইতিহাস অধ্যায়’-এর ২ নম্বর পৃষ্ঠার শেষ লাইনের শেষ শব্দ ও ৩ নম্বর পৃষ্ঠার প্রথম লাইনে বিকৃতি করে তুলে ধরা হয়েছে।

নবম ও দশম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ পাঠ্যবইয়ের ২২ নম্বর পৃষ্ঠায় একাধিক বিকৃতি দেখা গেছে, জাতীয় চার নেতার নামের আগে ‘জাতীয় নেতা’ লেখা হয়নি, ‘শীর্ষ নেতা’ লেখা হয়েছে। এমনিভাবে ওই বইয়ে অজস্র ভুল তুলে ধরা হলেও এটি ইতিহাস বিকৃতি যা অঙ্কুর থেকেই বিভ্রান্ত করার কৌশল।

বর্তমান সরকার উন্নয়নের রাজনীতির ডামাডোল বাজাচ্ছে, দেশে উন্নয়ন হয়েছে এবং মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবেও দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়া রোধ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এই উন্নয়ন আর উন্নত বাংলাদেশ কীভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা সম্ভব- এটি একশ্রেণির মৌলবাদীদের ভাস্কর্য বিরোধিতার মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ভাস্কর্যকে ইসলাম অনুমোদন করেছে কী করেনি- এটি ভালো করেই তারা জানেন এবং বুঝেন। তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে- এটিও আমি মনে করি না। কিন্তু হঠাৎ করে কেন আধুনিক সভ্যতার এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে ভাস্কর্যবিরোধী হুমকি ধমকি প্রদান করা হচ্ছে। এটি শুধু কথার কথা বা শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতির মাঝে রাখলেই হবে না, গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনাসহ গবেষণার দাবি রাখে। আবার এই জায়গায় রাষ্ট্রের কী ব্যর্থতা রয়েছে- এটিও মূল্যায়ন করা উচিত।

কারণ, দীর্ঘদিন অসাম্প্রদায়িক আর ধর্মীয় মূল্যবোধের আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরেও কথিত ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে আরেকজন ধর্মপ্রাণ মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে, অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে ছাই করার সুযোগ পায়। আবার এই মৌলবাদ-জঙ্গি মতাদর্শের মানুষগুলো পরিকল্পনা গ্রহণ করেই কুমিল্লায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে উল্লাস করে।

স্বাধীনতার পঞ্চাশের ঘরে দাঁড়িয়ে সত্যিই উপলব্ধি হচ্ছে, আমরা মূলত কোন দিকে যাচ্ছি? কারণ, যে জাতির ওপর দেশ ও দেশের স্বাধীনতা নির্ভর করে, দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন টিকে থাকবে, সেই জাতি-জনগণকে রাষ্ট্র কতটুকু সচেতন-শিক্ষায় অগ্রসর করতে পেরেছে? কতটুকু মৌলিক শিক্ষায় ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পেরেছে- এটিও মূল্যায়নের দাবি করে।

দেশে কিছু একটা হলেই ধর্মীয় অপব্যাখ্যা সৃষ্টি করে জনমনে বিভ্রান্ত ছড়ানো, কথিত ধর্ম অবমাননার নামে হিন্দুদের ঘরবাড়ি জ্বালানো হচ্ছে, মামলা-হামলাগুলো স্বাভাবিক ঘটনার মতোই যেন মৌলবাদীরা উল্লাস করছে, যার লাগাম টেনে ধরা অতি জরুরি। ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষবাষ্প রোধ করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এই অপশক্তির মূলোৎপাটন করা সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

আর এখানেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব অতিমূল্যবান। কারণ, রাষ্ট্রের নির্দেশেই রাষ্ট্রযন্ত্রগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি থেকে শুরু করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ জরুরি। আজ পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ তখনই গর্ববোধ করবে, যখন পদ্মা সেতুর বিপরীতের ষড়যন্ত্র আর চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবে জানবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি তখনই বজায় থাকবে, যখন ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষবাষ্প ছড়ানো বন্ধ হবে। একটি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থান তখনই উন্নত হবে, যখন সে দেশের জনগণ দেশাত্মবোধ নিয়ে এগিয়ে যাবে, যার যথাযথ ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হয়, উদ্যোগ নিতে হয়।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।

/এসএএস/এমওএফ/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ