X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিকে পেনশন নিষ্পত্তিতে দেরি হলে জবাবদিহি

এস এম আববাস
২২ জানুয়ারি ২০২১, ২১:০০আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২১, ২১:০০

অবসরে যাওয়ার পর অফিসের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলি ক্ষয়ে যাওয়ার গল্প নতুন কিছু নয়। নিয়োগকারী মন্ত্রণালয় বা অধিদফতর থেকে পেনশনের কাগজপত্র চূড়ান্ত করতে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় এখনও। এই পরিস্থিতি  বিরাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরেও— এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে এই দুর্দশা আর থাকছে না। অবসরে যাওয়া প্রাথমিকের শিক্ষক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীর পেনশন সঠিক সময়ে যদি নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের  জবাবদিহি  করতে হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘অবসরে যাওয়ার পর যাতে কোনও শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে ঘুরতে না হয়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে বা যার কারণে পেনশন পেতে দেরি হবে, তাকে জবাদিহির আওতায় আনা হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অবসরের পর পেনশন দিতে দেরি করার কারণে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাসিক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে সকল পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন নিষ্পত্তি করতে হবে।  অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। পেনশন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মতামত চাইতে হবে। তবুও দেরি করা যাবে না।

অভিযোগ রয়েছে, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মাসের পর মাস পেনশনের ফাইল পড়ে থাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে। যার তদবির করার সুযোগ রয়েছে, অথবা যিনি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে পারেন, তারা দ্রুত পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে পারেন। তবে বেশিরভাগ শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। সারাজীবন চাকরির পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা দিতে বলা হয়। আর যদি কোনও ধরনের জটিলতা থাকে, তাহলে পেনশন ফাইল নিষ্পত্তি করতে ঢাকায় যাতায়াত করতে করতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

অভিযোগ আছে, পেনশনের ফাইল নিষ্পত্তি করতে অবসরে যাওয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে প্রায়ই অধস্তন কর্মকর্তাদের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনুরোধ করলেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তবে এসব কোনও অভিযোগই আর থাকবে না বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

 

/এপিএইচ/ 
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ
বাড়লো ব্রয়লার মুরগির দাম, কারণ জানেন না কেউ