রুশ কর্তৃপক্ষ বিরোধীদলীয় নেতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু করেছে। নাভালনি ও তার সমর্থকদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার পুলিশ সোবলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করে এবং জেরার জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর পাশাপাশি উচ্চ-পর্যায়ের দুর্নীতির অভিযোগও সামনে নিয়ে এসেছেন। গত ২০ অগাস্ট রাশিয়ার একটি অভ্যন্তরীন ফ্লাইটে সাইবেরিয়ার তমস্ক থেকে রাজধানী মস্কো যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভানলি। বিমানবন্দরে চা পানের আগেই তার পানীয়তে বিষ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন সমর্থকরা।
কোমায় চলে যাওয়া নাভালনিকে রাশিয়ায় প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর জার্মানিতে নেওয়া হয়েছিল। জার্মানির বার্লিন হাসপাতালই প্রথম নাভালনিকে সোভিয়েত আমলের বিষাক্ত রাসায়নিক নোভিচক দেওয়ার কথা জানায়। পরে সুইডেন এবং ফ্রান্সের পরীক্ষাগারেও নাভালনিকে নোভিচক বিষ প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিল জার্মানি। এখন নাভালনির সমর্থকরা বলছেন, নাভালনিকে বিষপ্রয়োগের ঘটনায় জড়িত ক্রেমলিনের এজেন্টকে সোবল হুমকি দিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে কারণেই তিনি সরকারের রোষানলে পড়ে থাকতে পারেন।
মস্কোয় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি’র ওই এজেন্টের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন সোবল। এরপরই সোমবার তাকে কয়েকঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। নাভালনি গত সপ্তাহে কৌশলে এফএসবি এজেন্ট কোনসতানতিন কুদ্রেইয়াভৎসেভের সঙ্গে ছদ্মবেশে কথা বলে তার কাছ থেকে বিষপ্রয়োগের সব কথা বের করেছেন বলে জানানো হয় গণমাধ্যমের খবরে। তবে এফএসবি তা ভুয়া এবং এফএসবি’র ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
নাভালনির দীর্ঘ দিনের মিত্র ৩৩ বছর বয়সী লুবোভ সোবল এফএসবি এজেন্ট কুদ্রেইয়াভৎসেভের ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিংবেল বাজিয়েছিলেন। তবে তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিকে নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনের আইনজীবী আইভান জুদানভ বলছেন, পুলিশের ধারণা সোবল ভয়ভীতি দেখিয়ে কিংবা সহিংসতার আশ্রয় নিয়ে একজনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। রাশিয়ায় এমন অপরাধের অভিযোগে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান আছে।