X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

তিস্তা-রোহিঙ্গা-সীমান্ত হত্যা: পরিণতি তো এমনই হওয়ার কথা

রুমিন ফারহানা
২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৭আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৯

রুমিন ফারহানা গত ২০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের ডেইলি স্টারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকার একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমাকে প্রথমে আহত, বিস্মিত করলেও পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়তে পড়তে আমি চমৎকৃত এবং আমোদিত হয়েছি। এই সাক্ষাৎকারে তিনি মূলত ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত হত্যা, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর বাংলাদেশের পাওনা, রোহিঙ্গা সমস্যায় ভারতের ভূমিকা, ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের মতো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রের মতো জটিল একটি বিষয় যেটিতে প্রতি মুহূর্তে নিজ দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক, ভূ-রাজনৈতিক, সামরিক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা, দরকষাকষি করতে হয়, সেখানে একজন দেশপ্রেমিক, অতি মেধাবী এবং দরকষাকষিতে দক্ষ একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকা অত্যাবশ্যক। আলোচ্য সাক্ষাৎকারটিতে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি হতাশাজনক।
সাক্ষাৎকারের দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মানসিকভাবে উৎফুল্ল, কারণ তার দুই দিন আগেই বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সামিটে আলোচনা হয়েছে। স্বাক্ষরিত হয়েছে বেশ ক’টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। তাকে প্রথমেই প্রশ্ন করা তিস্তা চুক্তি ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে জনাব মোমেনের উত্তর চমকপ্রদ–
‘আপনারা জানেন তিস্তা চুক্তি কোথায় আটকে আছে। ভারত সরকার বারবার অঙ্গীকার করছে, যখন তাদের অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) সমস্যা দূর হবে, তখন এটা সই হবে। সুতরাং, আপনি বারবার এটা উচ্চারণ করে লজ্জিত করার কোনও কারণ নেই। বরং, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মিডিয়াকে বলেন। এটার প্রতি পাতায় সই (পেজে পেজে ইনিশিয়াল) করা আছে। শুধু বাস্তবায়ন (ইমপ্লিমেন্ট) হবে। ইমপ্লিমেন্টটা হচ্ছে না। সুতরাং, আপনাদের একটা দায়িত্ব আছে। আপনারা এ নিয়ে ভারতে কিংবা পশ্চিমবঙ্গে জনমত গঠন করেন। ভারত সরকার এটা করতে রাজি। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের জনমত এর পক্ষে না থাকায়, তারা এখনও এটা করতে পারেনি।’

ওনার বক্তব্যের দু’টো বিষয় কৌতুকউদ্দীপক। তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তিনি পুরো দায় চাপিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ওপর। আর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিককে বলেছেন তাদেরও দায়িত্ব আছে ভারতে বা পশ্চিমবঙ্গে জনমত গঠন করা। কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে যে বিষয়ে আলোচনাটি হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে সেই দেশের আইন, সংবিধান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এসব ক্ষেত্রে তাদের ন্যূনতম ধারণাও নেই। না হলে তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্গেইনিং পয়েন্ট ছিল ভারতীয় সংবিধানের ২৫৩ অনুচ্ছেদ যেটা বলেছে,

‘Notwithstanding anything in the foregoing provisions of this Chapter, Parliament has power to make any law for the whole or any part of the territory of India for implementing any treaty, agreement or convention with any other country or countries or any decision made at any international conference, association or other body’.

ভাষা জ্ঞানসম্পন্ন যে কোনও মানুষই অনুচ্ছেদটি পড়েই বুঝবে কেন্দ্র চাইলে যে কোনও রাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোনও বিষয়ে যে কোনও চুক্তি যে কোনও সময়ে করতে পারে। এজন্য রাজ্যের দিকে তাকাবার কোনও কারণ নেই। আমরা দেখেছি ভারত সব সময়ই জেনে-বুঝে পশ্চিমবঙ্গকে একটা অজুহাত হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। এই বিষয়ে হয় বাংলাদেশ জেনেশুনে ইচ্ছেকৃতভাবে নিজের ব্যর্থতা এবং দুর্বলতা ঢাকতে ভারতের দেওয়া মিথ্যা অজুহাতকে আঁকড়ে ধরেছে (যেটা হবার সম্ভাবনাই অনেক বেশি) অথবা বাংলাদেশ ২৫৩ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে কিছুই জানে না। দু’টো ক্ষেত্রেই এটা মারাত্মক অপরাধ।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দায়িত্ব চাপিয়েছেন এদেশের সাংবাদিকদের কাঁধে। তার মতে এটা নিয়ে সাংবাদিকদের পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতে জনমত গঠন করা উচিত। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টিকে হাস্যকর পর্যায়ে নামিয়ে আনার একটা ক্ল্যাসিক টেক্সটবুক এক্সাম্পল হতে পারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যটি।

‘আমরা তো বহুদিন ধরেই সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা তুলছি। ভারত সরকার আমাদের বলেছে যে সেখানে কোনও প্রাণঘাতী অস্ত্র (লেথাল উইপন) ব্যবহার হবে না। আজকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী আবার বলেছেন। তারাও সীমান্তে হত্যা চায় না। তারা একটা জিনিস বলেছে, সেখানে মাঝে মাঝে অপরাধীরা (ক্রিমিনালস) গিয়ে ঝামেলা করে। যারা ক্রিমিনাল তারাও কিন্তু অস্ত্র ব্যবহার করে। সুতরাং, সেই ব্যাপারে আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে। অপরাধীরা সেখানে বোমা নিয়ে যাবে, বন্দুক নিয়ে যাবে, বিএসএফের ওপর আক্রমণ করবে, এটা তো ঠিক না। ভারতের ভেতরে গিয়ে আক্রমণ করে। এটা বর্ডার কিলিং না। এটা ‘কিলিং ইনসাইড ইন্ডিয়া’। এটা আপনাদের দেখতে হবে। আপনারা ‘বর্ডার কিলিং’ বলে ফেলেন। কিন্তু, অনেক সময় বর্ডার থেকে বহু ভেতরে গিয়ে লোকেরা মারা যায়। সেখানে তাদের লেনদেনে ঝামেলা হয়, তখন সে মারা যায়। আপনারা মিডিয়ার লোক লেনদেনের ঝামেলা কেন হয়, সেগুলো তুলে আনেন (ইউ শুড এক্সপোজড ইট)… ভারত বলছে, আত্মরক্ষার জন্য তাদের মাঝে মাঝে ক্রিমিনালদের গুলি করতে হয়। আপনিও জানেন যে, সেখানে ক্রিমিনাল আছে। তথ্য যাচাই বাছাই করেন। ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্ট করেন। রিপোর্টার পাঠান। দেখেন ওদের কাছে বোমা থাকে। এটা ভারতের অভিযোগ। আমি তো গিয়ে দেখিনি। আমরা ইনভেস্টিগেট করিনি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বুঝলাম সীমান্তে ‘ক্রিমিনালদের’ গুলি করা হয়। প্রথমত তারা ক্রিমিনাল কিনা সেটা বিরাট প্রশ্নসাপেক্ষ ব্যাপার, আর যদি ক্রিমিনাল হয়ও তাদের গুলি করে মেরে ফেলতে হবে? ক্রিমিনালদের নিষ্ক্রিয় করার নানা রকম পদ্ধতি আছে, যেটা ভারতের অজানা থাকার কথা না। মানুষ হত্যা করা ছাড়াও যে ক্রিমিনালদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার প্রমাণ হচ্ছে ২০১১ সালে বিএসএফ-বিজিবি সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে চুক্তি করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মারফত আমরা প্রথম জানতে পারলাম, তারা বোমা, বন্দুক ব্যবহার করে। আর ভারত আত্মরক্ষার জন্য মাঝে মাঝে তাদের গুলি করে। অতীতেও আমরা দেখেছি সীমান্ত হত্যাকে জায়েজ করে এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, বিজিবি প্রধান বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের এ ধরনের বক্তব্য যথেষ্ট এটা বুঝবার জন্য যে কেন চীন, পাকিস্তানের মতো চিরশত্রু, কিংবা নেপাল-ভুটান-মিয়ানমারের মতো ছোট দেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করার পরও হত্যা কেন শুধু হয় বাংলাদেশ সীমান্তে।

তার সাক্ষাৎকারে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। আমরা জানি এই ইস্যুতে সরকারের দুই ‘বন্ধুরাষ্ট্র’ এর একটি (ভারত) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনীত নিন্দা প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে, আর অপরটি (চীন) সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়, আর নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো দেয়। এই প্রসঙ্গে তিনি যা যা বলেছেন, দেখে নেওয়া যাক সেটা।

ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা ভারতের কৌশল। ভারত নিরপেক্ষ ছিল, আমাদের পক্ষে ভোট দেয়নি। কৌশলের অংশ হিসেবে তারা এটা করেছে এবং আমাদের আগেই জানিয়েছে। বলেছে যে, ‘তোমাদের পক্ষে আমরা ভোট দেবো না। কারণ আমরা নিরপেক্ষ  থাকতে চাই। আমাদের মিয়ানমারের বিষয়ে কিছুটা ছাড় দিতে হয়।’ এটা ভারতের কৌশল।’

আর চীনের আচরণ নিয়ে তার বক্তব্য– ‘চীন তার স্বার্থ দেখে করে। আপনি কি চীনকে জোর করে ভোট চেঞ্জ করে দেবেন? জোর করে তার কোনও পক্ষের প্রতি সমর্থন বন্ধ করে দেবেন? আমরা কি চীনকে আটকাতে পারবো যে, তুমি মিয়ানমারের পক্ষে ভোট দিতে পারবে না। চীনের নিজেদের পলিসি আছে। তারা আমাদের বলেছে যে তারা আমাদের সাহায্য করছে। যথেষ্ট সাহায্য করছেও আমাদের। কিন্তু, এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদেরকে নির্দেশনা দিতে পারবো। আমরা তো কাউকে ডিকটেট করতে পারি না।’

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সময় আলোচিত দুই ‘বন্ধুরাষ্ট্রের’বাংলাদেশের পক্ষে থাকার যে বক্তব্য ওই দেশগুলো তো বটেই, বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দেওয়া হয় সেগুলো যে স্রেফ ‘ডিপ্লোম্যাটিক রেটরিক’ সেটা সচেতন মানুষ ঠিকই বুঝতেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একেবারে ব্যাসিক জ্ঞান থাকা যে কেউ জানেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মধ্যে সত্যিকার বন্ধুত্ব বলে আসলে কিছুই নেই, যা আছে তা হচ্ছে পারস্পরিক স্বার্থের দরকষাকষি আর তার ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেপ।

অনেক কথা বলতে গিয়ে স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রী থলের বিড়াল বের করে দিলেন। তার কথায় এটা একেবারেই স্পষ্ট–রোহিঙ্গা প্রশ্নে চীন-ভারত উভয় দেশ তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য সব পদক্ষেপ নিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যর্থ। আসলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ তার দরকষাকষি করার ক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে চরম প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে ক্ষমতায় থাকার ভিত্তি হারানো সরকারটি ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার সময় কী নিয়ে দরকষাকষি করে, কী তার প্রায়োরিটি, সেটার যৌক্তিক অনুমান করা আদৌ কঠিন বিষয় নয়।

এতকিছুর পর যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ভারত থেকে আমাদের প্রাপ্তি কী সেই প্রসঙ্গে কিছু বিষয় উল্লেখ করেন তিনি যার মধ্যে ছিল এই বিষয়টি–‘ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো বলেই, আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার হচ্ছে। আমাদের দেশের লোক ওই দেশে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে।’ 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে ভারত বাংলাদেশের রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়। অথচ বাংলাদেশের রোগীরা ভারতের হাসপাতালগুলোর জন্য এক বিরাট ব্যবসা। করোনার সময়ে যখন বাংলাদেশি রোগীরা ভারতে যেতে পারছিলেন না, তখন অনেক ভারতীয় হাসপাতালের সংকটে পড়ার সংবাদ আমরা পত্রিকায় দেখেছি। ঠিক কত রোগী ভারতে চিকিৎসার জন্য যায়, তার খুব ভালো পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৬/৭ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য যান, এবং প্রতি বছর কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি টাকা সেখানে ব্যয় করেন। বর্তমানে এই পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ হওয়ার কথা।

একটি দেশ অপর দেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে নানা বিভাগের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মূল ব্যক্তি নিশ্চয়ই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই তার বক্তব্যের মধ্য দিয়েই আমরা আসলে বুঝতে পারবো এসব ক্ষেত্রে সরকারের বয়ান কী। আলোচ্য সাক্ষাৎকারটি প্রমাণ করে–কেন আমাদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান এতদিন হয়নি, এখনও হয় না, এবং এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতেও হবে না।

লেখক: আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য

 

/এসএএস/এমএমজে/

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
নামাজ চলাকালে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ, মুসল্লিদের মধ্যে আতঙ্ক
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ