শীত মানেই পিঠা-পুলি ও পায়েস খাওয়ার আমেজ। শীতে নতুন চালে তৈরি করা হয় বাহারি সব পিঠা। পিঠার মৌ মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি। মূলত নবান্নের পরেই গ্রামে গ্রামে শুরু পিঠা তৈরির ধুম। সাথে খেজুর গুড়ের তৈরি পায়েসের জুড়ি মেলা ভার।
পুলি পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিসাপটা, নারিকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধপুলি, দুধরাজ, গোকুল পিঠা, রসপিঠা, সন্দেশ, জামাই পিঠা, মালপোয়াসহ নানান ধরনের পিঠার নাম শুনলেই যেন জিভে জল চলে আসে। আর এসব বাহারি পিঠা নিয়ে দিনাজপুরে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব।
পুরোনো দিনের সব পিঠাকে মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। এসব পিঠা যে শুধু বাড়ি থেকে তৈরি করেই নিয়ে আসা হয়েছে তা নয়, আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য অনেক স্টলেই তৈরি হচ্ছে গরম গরম পিঠা।
আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের এম. আব্দুর রহিম অডিটরিয়ামে এই উৎসব শুরু হয়, যার আয়োজন করেছে গার্লস অব হ্যাভেন নামের একটি সংগঠন। উৎসবটি চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। আয়োজনে মোট ১২টি স্টল রয়েছে।
আয়োজকরা বলেন, গার্লস অব হ্যাভেন সেই সব নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে জারা নিজ প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যেতে বসা পিঠাগুলোকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এই উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য।
গার্লস অব হ্যাভেনের এডমিন সাদিয়া খান বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজন মূলত নারী উদ্যোক্তাদের একত্রিত করার উদ্দেশ্যে। পিছিয়ে পড়া নারী উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী করতে সাহায্য করার পাশাপাশি ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন চিন্তা-চেতনা ও কৌশল ভাগাভাগি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মের আয়োজন করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।’