নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ী গ্রামে এক গৃহবধূকে (২১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ মারপিট করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ রবিবার (৯ আগস্ট) সকালে কুমড়ি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রিপন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ জানায়, রিপনের নামে লোহাগড়া থানায় খুনসহ সাতটি মাদক ও অন্যান্য মামলা মিলে দশটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন– কুমড়ি গ্রামের রিপন মোল্লা (৩৫), ওহিদুল মোল্লা (২৯), পাশ্ববর্তী তালবাড়িয়া গ্রামের নুরনবী মোল্লা (২৫)।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক সন্তানের মা ওই গৃহবধূ গত বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে হাত-পা ধুতে গেলে কুমড়ী গ্রামের রিপন মোল্লা এবং ওহিদুল মোল্লা ওই গৃহবধূকে জোর করে নির্জন স্থানে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকসহ ওই গ্রামের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি শালিসের নামে ওই নারীকে মারপিট করে অবরুদ্ধ করে রাখে।
ওই নারী অভিযোগে জানান, প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ধর্ষকরা তাকে ধর্ষণের পর মারপিট ও অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। হত্যার হুমকিও দিয়েছে।
তার বাবা বলেন, ‘ঘটনার পর প্রভাবশালীরা আমাদের বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে গত শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে স্বপরিবারে পালিয়ে এসে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করি।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।