শুরুতে বলিউডের কয়েকজন নামজাদা তারকার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক। তারা হলেন- ইনকিলাব শ্রীবাস্তব, গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী, শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গের আয়াপ্পান, রাজিব হরি ওম ভাটিয়া, রবি কাপুর, ফারহান আব্রাহাম ও ভিশাল ভিরু। কাউকেই চিনতে পারছেন না তো!
আবার বলছি, অমিতাভ বচ্চন, মিঠুন চক্রবর্তী, শ্রীদেবী, অক্ষয় কুমার, জিতেন্দ্র, জন আব্রাহাম ও অজয় দেবগন। যার যার সঙ্গে মিলিয়ে নিন সিরিয়াল। বলিউডে আসার আগে তাদের ‘আসল নাম’ ছিল আগেরটাই!
নায়ক-নায়িকাদের নামটাও যে সিনেমার একটা অংশ এটা কীভাবে যেন বুঝে ফেলেন নির্মাতারা। আর তাই সময় থাকতেই একটা ‘অভিনেতাসুলভ’ নাম দিয়ে দেন তারা। অনেক সময় শিল্পী নিজেও ঠিক করে দেন তার নাম কী হবে।
মুহাম্মদ ইউসুফ খান
বলিউডে নাম বদলের চর্চাটা সম্ভবত মহানায়ক দিলীপ কুমারের হাত দিয়েই শুরু।
প্রিতম সিং জিনতা
আগেই আঁচ করা যাচ্ছে তিনি আর কেউ নন, বলিউডের মিষ্টিতম হাসির অধিকারী প্রীতি জিনতা।
সাজিদ আলি খান
বিয়ের কাগজপত্র ফাঁস থেকেই জানা গেলো সাইফ আলি খানের আসল নামটা।
জয় হেমন্ত শ্রফ
জন্ম তার ৫০ বা ৬০-এর দশকে হলে এ নাম মানা যেত। এ কারণেই বলিউডের প্রাচীর টপকানোর আগে নামের সঙ্গে টাইগার জুড়ে দেন টাইগার শ্রফ।
তাবাসসুম হাশমি
না, ইমরান হাশমির সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই টাবুর।
শহিদ খাত্তার
শহিদ কাপুরের অমন হিরো-লুকের সঙ্গে কি খাত্তার শব্দটা যায়?
অশ্বিনি শেঠি
কঠিন এ নাম ধরে রাখলে বোধহয় নামধাম কুড়োতে কষ্টই হতো শিল্পা শেঠির।
রাকেশ নাগরাথ
আপনার প্রিয় অভিনেতা কে? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাগরাথ না বলে ঋত্বিক রোশন বলা সহজ নয় কি?
এ ছাড়া সিনেমার খাতিরে কারণে বড় নামকে ছোট করার রেওয়াজও বহু চর্চিত। যার কারণে মোহাম্মদ আমির হুসাইন খান হয়েছেন আমির খান, আবদুল রশিদ সেলিম সালমান খান ছেঁটে ফেলেছেন নামের প্রথম তিন শব্দ। এ ছাড়া মাঝের শব্দ ফেলেছেন রণবীর রাজ কাপুর, মাধুরী শংকর দীক্ষিত ও অজয় সিং দেওল।