X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

১২ বছর বয়স থেকেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন চাইলো ফাইজার

বিদেশ ডেস্ক
১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৭আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৩

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ১২ বছর বয়স থেকেই ফাইজার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার ফাইজার এবং তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক-এর পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)-এর কাছে এ অনুমোদন চাওয়া হয়।

বর্তমানে ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা ফাইজারের টিকা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হন। তবে বয়সের এই মানদণ্ড ১৬ বছরের বদলে ১২ বছর থেকে শুরুর আবেদন জানানো হয়।

ফাইজার-বায়োএনটেক জানিয়েছে, ২০২১ সালের মার্চে চালানো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিন তরুণদের দেহে শক্ত 'অ্যান্টিবডি' তৈরিতে সফলতা দেখিয়েছেI তাই জরুরিভিত্তিতে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিনটির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ফাইজারের এই আবেদন অনুমোদন পেলে আসন্ন শরতে স্কুলে ফেরার আগেই ভ্যাকসিন নেওয়ার সুযোগ পাবে শিশুরা।

ফাইজার-বায়োএনটেক-এর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়; বরং আসন্ন দিনগুলোতে তারা বিশ্বব্যাপী সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একই ধরনের অনুমোদন চাইবে।

ফাইজারের চালানো পরীক্ষায় যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার ২৬০ জন রোগী। এর মধ্যে টিকা সদৃশ ভ্যাকসিন নেওয়া গ্রুপের ১৮ জনের করোনা হলেও টিকা নেওয়া কেউই আক্রান্ত হয়নি। ফাইজার বলছে, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় এই বয়সীদের ওপর ভ্যাকসিনটি শতভাগ কার্যকর। এছাড়া অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের মধ্যে টিকার যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে শিশুদের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি সহনীয়।

ফাইজার সিইও আলবার্ট বোরলা বলেন, ‘অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য আমাদের ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারছি। আর ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের ওপর চালানো পরীক্ষার ফলাফল থেকে আমরা উৎসাহ পাচ্ছি।’

ফাইজার জানিয়েছে, এর আগে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ওপর চালানো পরীক্ষায় টিকা নেওয়ার পর যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে তার পরিমাণ আরও বেশি।

জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারির অবসান ঘটাতে শিশুদের টিকা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কোনও কমিউনিটির যথেষ্ট সংখ্যক প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়া হয়ে গেলেও শিশুরা এর বাইরে থাকলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যার ২০ শতাংশই শিশু। অন্যদিকে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকতে হবে।

/এমপি/
সম্পর্কিত
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্সেলে তরুণদের কাছে আসছে কোটি টাকার মাদক
সর্বশেষ খবর
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ